
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুতা চুরির অভিযোগে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২০ মে) মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. শফিকের নজরে এলে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, আটক তরুণ নিজের নাম বলেছেন মো. জাহাঙ্গীর। তবে তার মোবাইল তল্লাশি করে ফেসবুক আইডিতে নাম পাওয়া যায় ইউনুস মিয়া। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কদুরি গ্রামে। তিনি জুতা চুরি করে সদরঘাট এলাকায় জুতা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন বলে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা জোহরের নামাজ আদায় করছিলাম। দ্বিতীয় রাকাতের সময় একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে। নামাজের শেষে অজুখানার পাশে একটি ব্যাগে আট জোড়া জুতা পাওয়া যায়। এরপর তাকে ধরা হয়।’
মুয়াজ্জিন মো. শফিক বলেন, ‘আমি এর আগেও সিসিটিভি ফুটেজে তাকে দেখেছি। আজ একটু আগে নামাজ পড়ে বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলাম। তখনই তাকে দেখে মোবাইল ক্যামেরা চালু করে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করি। সে দ্বিতীয় রাকাত চলাকালীন ৭ থেকে ৮ জোড়া জুতা একত্র করে একটি বস্তায় ভরে অজুখানার পাশে লুকিয়ে রাখে। নামাজ শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাকে আটক করি।’
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় মসজিদে জুতা চুরির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এত দিন কেউ ধরা না পড়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। আজ তাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘তাকে প্রাথমিকভাবে প্রক্টর দপ্তর রাখা হয়েছে। তার পরিবারের সঙ্গে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’