Image description

ভারত ও চীনের মধ্যে পশ্চিমারা সংঘর্ষ বাঁধানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনার মধ্যেই এমন দাবি করলেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

 

 

 
 

ল্যাভরভের দাবি, ভারত ও চীনকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ অঙ্ক কষে এশিয়ার দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি করতে তৎপর পশ্চিমা দেশগুলো। আর্থিকভবে তাদের দুর্বল করার এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

 
 

 

 
 

রুশ বার্তাসংস্থা তাসের সূত্রে শনিবার (১৭ মে) এ তথ্য জানিয়েছে বাসস।

 

চীন ও ভারতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর দিন। পশ্চিমের দেশগুলো চীন বিরোধী মনোভাব তুলে ধরতে ওই অঞ্চলকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল হিসেবে উল্লেখ করতে শুরু করেছে। ওদের পরিকল্পনার ফলে আমাদের দুই বন্ধু রাষ্ট্র ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘাত আরো তীব্র হবে।’

 

তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাভরভ আরো দাবি করেছেন, শুধু তাই নয়, পশ্চিমা বিশ্ব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের সম্মিলিত গোষ্ঠী দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনের (আসিয়ান) ভূমিকাকে দুর্বল করতে তৎপর।

 

ল্যাভরভ বলেছেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পশ্চিমারা এখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চায়।’

 

উল্লেখ্য, আসিয়ান হলো আর্থিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা তৈরির লক্ষ্যে ১০টি দেশকে নিয়ে গঠিত একটি গোষ্ঠী। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিংগাপুর, থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনাম।

 

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এশিয়ায়। ভারতও অর্থনৈতিকভাবে নজর কাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিলে লাভ হবে পশ্চিমা বিশ্বের। এশিয়ার বাকি দেশগুলোকে সহজে ব্যবহার করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো। তাই আপাতত চীন ও ভারত দুই প্রতিবেশীর আধিপত্য কমাতে দুই জনকে সংঘাতের ময়দানে মুখোমুখি দাঁড় করাতে সক্রিয় হয়েছে পশ্চিমারা।