
সব সরকারি দপ্তরে একই ধরনের কাজে কর্মরতদের পদ-পদবি ও বেতন স্কেল একসময় একই ছিল । তিন দশক আগে সচিবালয়ের কর্মচারীদের পদনাম বদলে দিয়ে তাঁদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে সরকার । পরে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারীদের এভাবে সুবিধা দেওয়া হয় । সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা ‘ প্রভাবশালী ’ ওই তিন দপ্তরের মতো সুবিধা চাইলেও সরকার হাঁটছে অন্য পথে । ৩০ টি অধিদপ্তর , পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা তাঁদের পদনাম বদল করে বেতন গ্রেড উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন ।
গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে আসা এসব আবেদন পর্যালোচনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । পাশাপাশি ১০ ম থেকে ২০ তম গ্রেডভুক্ত সব সরকারি কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নেও হাত দিয়েছে । দিয়েছে । তবে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আপত্তিতে এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন , সব সরকারি দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম না হওয়ায় অভিন্ন নিয়োগবিধি জারি করলে জটিলতা সৃষ্টি হবে । বরং সচিবালয়ের মতো মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের সুযোগ - সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে । বর্তমানে ডিসি এবং ইউএনও কার্যালয়ের কর্মকর্তা - কর্মচারীদের জন্য একটি এবং বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আরেকটি নিয়োগ বিধিমালা রয়েছে ।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয়- বিভাগের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় ( ক্যাডারবহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন - গেজেটেড কর্মচারী ) নিয়োগ বিধিমালা -২০১৪ । এই বিধিমালা অনুযায়ী , সচিবালয়ের কর্মচারীরা উপসচিব পর্যন্ত পদোন্নতি পান । আর বিভাগীয় কমিশনার , ডিসি ও ইউএনও কার্যালয়ের কর্মচারীরা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান । অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা হলে সবার জন্য একই নিয়ম কার্যকর হবে । সরকার অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার পর সচিবালয় , বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি অফিসের কর্মচারীরা একদিকে এবং সরকারি অন্য দপ্তরের কর্মচারীরা পাল্টা অবস্থান নিয়েছেন । এখন সচিবালয়ের নন - ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩৫৬ জন সহকারী সচিব , ৭৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব ও ৯ জন উপসচিব পদে আছেন । ১৩ মে নন - ক্যাডার উপসচিবের আরও ছয়টি পদ সংরক্ষণ করার ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । সহকারী সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের আরও পদ সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন কর্মচারীরা । অন্যদিকে ইউএনও , ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তার ৮৩১ টি পদের বিপরীতে কর্মরত ৪৭৫ জন । বাকি পদে পদোন্নতি ও নিয়োগের জন্য জ্যেষ্ঠতার খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে । আর মাঠ প্রশাসনে প্রশাসনিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ।
জনপ্রশাসন তথ্যানুযায়ী , অধিদপ্তর , পরিদপ্তর ও সংস্থায় প্রধান সহকারী , উচ্চমান সহকারী ও সমমানের প্রায় ১৪ হাজার পদ রয়েছে । এ ছাড়া ফিডার পদ হিসেবে প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদোন্নতি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন । ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদবি অনুযায়ী , সচিবালয়ের ১০ থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন কর্মচারীরা ।
বৈষম্যের সূচনা যেভাবে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ ও ১৯৭৭ সালের ঘোষিত জাতীয় বেতন স্কেলে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহকারী , উচ্চমান সহকারীসহ সব দপ্তরের সমজাতীয় পদগুলোর জন্য একই নিয়োগবিধি এবং ১৩ ও ১৪ তম বেতন গ্রেড নির্ধারিত ছিল । ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ( জনপ্রশাসনের আগের নাম ) শুধু সচিবালয়ের ভেতরে যাঁদের অফিস তাঁদের দায়িত্ব , বেতন স্কেল , কর্মপরিধি ও পদমর্যাদা অপরিবর্তিত রেখে প্রধান সহকারী , উচ্চমান সহকারী , শাখা সহকারী , বাজেট পরীক্ষক পদবি বদলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করে ।
১৯৯৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা দিয়ে ১০ ম বেতন গ্রেড দেওয়া হয় । ২০০৮ সালের নভেম্বরে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারি কর্ম কমিশনের আদেশে পিএসসির প্রধান সহকারী , শাখা সহকারী , উচ্চমান সহকারী পদ পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং সাঁটলিপিকার পদবি পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা করা হয় । এসব পদের বেতনও ১০ ম গ্রেডে উন্নীত করা হয় । ১৯৯৭ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে এই আদেশ কার্যকর ধরা হয় । ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের প্রধান সহকারী ও উচ্চমান সহকারীর পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করে বেতন ১০ ম গ্রেডে উন্নীত করে । এটি ২০০৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয় ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনার , জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সুপারিনটেনডেন্ট, সিএ কাম উচ্চমান সহকারী ও সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদবি বদলে উপপ্রশাসনিক কর্মকর্তা ; প্রধান সহকারী , ট্রেজারি হিসাবরক্ষক , সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও পরিসংখ্যান সহকারীর পদবি বদলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং উচ্চমান সহকারীর পদবি বদলে উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা করা হয় । তবে তাঁদের বেতন গ্রেড আগের মতোই রাখা হয় ।
সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর , পরিদপ্তর ও সংস্থার কর্মচারীরা পদবি বদলে বেতনবৈষম্য নিরসনের জন্য দুই যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসছেন । বাংলাদেশ প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীনে ২৫২ টি অধিদপ্তর , পরিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার প্রধান সহকারী , উচ্চমান সহকারী , সহকারীর সমমানের পদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ বেতন স্কেল ১০ ম গ্রেডে উন্নীত করে সচিবালয়ের মতো করার দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে । প্রশাসনিক বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো . বেল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন , ৩০ বছর ধরে অধিদপ্তর , সংস্থার সঙ্গে পদবিবৈষম্য করা হচ্ছে । কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পদবিবৈষম্য নিরসনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বারবার কমিটি গঠন করলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অধিদপ্তর , দপ্তর , সংস্থার ১৩ হাজারসহ প্রায় ৩ লাখ সরকারি কর্মচারী পদবি ও বেতনবৈষম্যের শিকার । এ বৈষম্য নিরসন না করে অভিন্ন নিয়োগবিধি করলে বেতনবৈষম্য আরও বাড়বে ।
উদ্যোগ আছে , বাস্তবায়ন নেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা - সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির ২০১২ সালের ১২ আগস্টের সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয় । সেই সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি । ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি একই কমিটির সভায় এ বিষয়টি আবার আলোচিত হয় । এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে তাদের অধীন দপ্তর , অধিদপ্তর , পরিদপ্তরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠাতে বলা হয় । ২৫২ টি দপ্তর , অধিদপ্তর , পরিদপ্তর ও সংস্থা এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য লিখিতভাবে জানায় । তবে এরপর মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখা আর কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়নি ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দাবিদাওয়া- সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর পদ - পদবিবৈষম্যের বিষয়ে একটি সভা করে । দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২ তম সভায় এবং একাদশ সংসদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সভায় সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাইরের অধিদপ্তর , পরিদপ্তর , সরকারি সংস্থার প্রধান সহকারী , উচ্চমান সহকারী ও সমপদগুলোকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা , ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও গেজেটেড পদমর্যাদায় ১০ ম গ্রেডে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয় । এরপর ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবালয় শাখা একটি উপকমিটি গঠন করে ।
২০২২ সালের ২৮ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া - সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভায় উপকমিটির সুপারিশ মোতাবেক সব দপ্তর থেকে পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় । সে অনুযায়ী পদবি পরিবর্তনের প্রস্তাব চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সব সচিবকে চিঠি দেয় । এরপর ৩০ টি অধিদপ্তর , পরিদপ্তর ও সরকারি সংস্থা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগে তাদের প্রস্তাব পাঠায় । বিধি অনুবিভাগ এ বিষয়ে নেতিবাচক মতামত দিলে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি । জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি -১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়নে সরকারকে সুপারিশ দিতে কমিটি করা হয় । ওই সময় বিধি -১ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ শামীম সোহেল । তাঁকে সম্প্রতি বিধি -১ অনুবিভাগের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এই অনুবিভাগের অন্য দায়িত্বে বসানো হয়েছে । বিধি -১ অনুবিভাগে এখনো কাউকে পদায়ন করা হয়নি । শামীম সোহেল গত বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন , ' আমি আর ওই দায়িত্বে না থাকায় কমিটিতে কী হচ্ছে , তা বলতে পারব না । ’ তবে কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্ত বলেন , ‘ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের চাপের মুখে কমিটির প্রথম সভা স্থগিত করা হয়েছে । এখন আমরা সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি । '
অভিন্ন বিধিমালায় জটিলতা বাড়বে ২০১৮ সালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো নিয়োগবিধি প্রণয়নের প্রস্তাব উঠেছিল । তখন পর্যায়ক্রমে এই নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয় । জনপ্রশাসন এবং মাঠ প্রশাসনের নন - ক্যাডার কর্মকর্তা - কর্মচারীদের অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের সুপারিশ দিতে গত ৩০ এপ্রিল একটি কমিটি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল । তবে কর্মচারীদের আপত্তির মুখে ১৩ মে কমিটির সভা ডেকেও তা স্থগিত করা হয় । সবার জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে মাঠ প্রশাসনের নন - ক্যাডার কর্মকর্তা - কর্মচারীদের সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনে বদলির পথ তৈরি হবে ।
আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন , ‘ সচিবালয় ও মাঠ প্রশাসনে অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি হলে বৈষম্য বাড়বে । কারণ সচিবালয় নির্দেশমালার কাজের ধরন আর মাঠ প্রশাসনের কাজের ধরন এক নয় । আমরা অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন - সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি । এ বিষয়ে প্ৰধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি । ” বাংলাদেশ মাঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন , ‘ সচিবালয়ের নন - ক্যাডার কর্মকর্তারা পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত পদোন্নতি পাচ্ছেন , আমরাও তাঁদের মতো সুবিধা চাই । সরকার কীভাবে আমাদের সে সুবিধা দেবে , সেটা সরকারের ব্যাপার । আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্য করা হচ্ছে , আমরা এর অবসান চাই । ' জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া মনে করেন , সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা জারি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয় । তিনি বলেন , ‘ সব দপ্তরের কাজের ধরন এক রকম নয় । নিয়োগের সময় একই ধরনের যোগ্যতাও চাওয়া হয় না । অভিন্ন নিয়োগবিধি না করে সব সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের সমান সুযোগ- সুবিধা তৈরি করা যেতে পারে । হুট করে এমন কিছু করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি হবে । ' অভিন্ন নিয়োগবিধির পক্ষে নন সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদারও । আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন , ‘ সব কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করা বাস্তবভিত্তিক নয় । সব সরকারি অফিসের কাজের ধরন এক নয় , ফলে সুযোগ - সুবিধায় ভিন্নতা থাকতেই পারে । প্রয়োজনে সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে ।