
সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করে আসছে ছাত্রদল। সাম্য হত্যার পর থেকে এ দাবিতে ক্যাম্পাসে একাধিক কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে ছাত্রদলকে। সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে ঢাবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, ই-লাইব্রেরি, কলা ভবন, রেজিস্টার বিল্ডিংসহ বেশকিছু ভবনে তালা লাগায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ কর্মসূচিতে অনেক বহিরাগত অংশ নেন। এছাড়া, এদিন একই দাবিতে উপাচার্য বাসভবনের সামনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সাম্য হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির সঙ্গে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নসহ অন্যান্য কিছু বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। অন্যদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ অনেক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাম্য হত্যার সুষ্ঠু ও উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। কিন্তু তাদেরকে অনলাইন ও অফলাইনে ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির বিষয়টিকে পাত্তা দিতে দেখা যায়নি। এর বাইরে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, সাম্যের নিরাপত্তা দিতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হলেও ছাত্রদল কেন শুধু ভিসি ও প্রক্টরেরই পদত্যাগ চাচ্ছে? কারণ, প্রশাসনে তো দুইজন প্রো-ভিসি এবং ট্রেজারারসহ আরও অনেকেই রয়েছেন। এ দাবির পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সে প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও অ্যাক্টিভিস্ট মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার প্রথম দাবিই হচ্ছে সাম্য হত্যার উপযুক্ত বিচার। কিন্তু ছাত্রদল শুরু থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাওয়ার প্রসঙ্গকে গুরুত্ব না দিয়ে ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়ার দিকে বেশি জোর দিচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এর দায়ভার গণপূর্ত অধিদপ্তর, শাহবাগ থানা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর পড়া উচিত ছিল। সেখানে না গিয়ে তারা ওইদিন রাতেই ঢাবি ভিসির বাসভবনের সামনে এসে ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগ চাচ্ছেন। তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ে এসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। অথচ তাদের উচিত ছিল বিচার নিশ্চিতের উপর জোর দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্য এবং নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার জন্য ঢাবি প্রশাসনকেই দায়ী করত, তাহলে শুধু ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগই শুধু কেন চাচ্ছে? প্রশাসনে তো শুধু তারা দুইজনই নন। এখানে দুই প্রোভিসি এবং ট্রেজারারসহ অন্য অনেকেই আছেন। আমরা জানি, এই দুইজন (ভিসি-প্রক্টর) নির্দলীয় এবং নিরপেক্ষ চিন্তাভাবনার ব্যক্তিত্ব। আর অন্যরা সাদা দল বা অন্য দলের সাথে যুক্ত। আমার মনে হয়, এই দুইজন অন্যদের নিজেদের দলীয় ও ইচ্ছামাফিক বিভিন্ন কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার কারণে, একটা ইস্যু করে তাদের দুইজনকে বাদ দিয়ে দলীয় এজেণ্ডা বাস্তবায়নকারী কাউকে আনার চক্রান্ত চলছে। সে কারণেই বারবার ভিসি-প্রক্টরের দাবি নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছে একটি পক্ষ।
আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ড আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। এটা একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ড। আমরা সাম্যের খুনিদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল, সাম্য হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শুধু ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে, যদিও প্রশাসনে শুধু তারা দুজনই আছেন, বিষয়টি এরকম নয়। পদত্যাগ চাওয়ার এ বিষয়টিকে আমার কাছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়।’
অন্যদিকে, শুধু ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির কারণ সম্পর্কে মুখ খুলে জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে শিপন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু হলে প্রধানত তার দায়ী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেখি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক দায়িত্বে ভিসি। এরপর সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রক্টর রয়েছেন। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে বিগত সকল মিটিংয়েই ভিসি-প্রক্টরকে অবগত করেছি, কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। আমরা তাদেরকে অবগত করেছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এখনো ছাত্রলীগের অনেক সন্ত্রাসীরা এখনো অবস্থান করছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত আড্ডা দেন, আপনারা এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
তিনি আরও বলেন, তারা যদি আমাদের কথায় দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন বা আমাদের মূল্যায়ন করতেন তাহলে একজন জুলাই যোদ্ধা ও আমাদের একজন সক্রিয় নেতৃত্বের (সাম্য) এভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হতো না। আমরা তাদের দুইজনকে এই বিষয়ে জানিয়েছি বিভিন্ন সময়ে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছেন। যার ধরুন আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।
এ ছাত্রদলনেতা আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহত সাম্য একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন। ছাত্রদল হওয়ার কারণে তার বিচারের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে। প্রশ্ন উঠছে, তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে কেন বাইরে থেকে ছেলেপেলে আসছে। জুলাই বিপ্লব চলাকালে যখন ঢাবি শিক্ষার্থীরা যখন ছাত্র-জনতাকে মাঠে নামতে বলেছে তখন নেমেছে, সেটা সমস্যা নয়। কিন্তু সেই আন্দোলনের একজন নেতৃত্ব মারা যাওয়ার পর তার সংগঠনের ডাকে যদি ছেলেপেলে ক্যাম্পাসে আসে তাহলে সেটা সমস্যা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা তালা মেরেছে, তা আমরা জানিনা। আমাদের তালা মারা কর্মসূচি ছিল না। আমাদের কর্মসূচি ছিল ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান।
সাম্য হত্যার বিচার ও মূল রহস্য উদ্ঘাটনে গণপূর্ত অধিদপ্তর (সাম্য হত্যাকাণ্ডের স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গণপূর্ত অধিদপ্তরের আওতাধীন), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং শাহবাগ থানায় আপনাদের সাংগঠনিক কোনো উদ্যোগ ছিল কিনা জানতে চাইলে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্য হত্যাকাণ্ড ঘটার পরপরই আমরা পুলিশের রমনা জোন এবং শাহবাগ থানার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলছি। আসামি গ্রেপ্তারেও আমরা সহযোগিতা করছি। এছাড়া মামলার অগ্রগতি সম্পর্কেও তদারকি করছি।
ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন নিরাপত্তা। ভিসি-প্রক্টর পদত্যাগ করলে কী নিরাপত্তা বেড়ে যাবে? যদি নিরাপত্তা বেড়ে যায় তাহলে আমরা পদত্যাগ করবো। শুধু আমাদের দুইজনের পদত্যাগের দাবিকে দুইভাবে দেখা যায়, প্রথমত: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে অনেক সময় এই দুইজন ম্যাটার করে এবং এ দুইজনের বিভিন্ন এক্টিভিটিজ ভিজিবল থাকে বা মানুষের চোখে পড়ে। অনেকটা কাজ বা দায়িত্বও এই দুজনের বেশি। দ্বিতীয়ত: এ দুইজনকে সরিয়ে দিলে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা এবং বহিরাগতের ক্রাউড চায় তাদের আশা পূরণের পথ হয়তো সহজ হবে।
তিনি বলেন, আমাদের মেধাবী একজন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। আমাদের সন্তানদের সাথে ঘটা এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের জন্য খুবই কষ্টের। অন্যদিকে, যারা আমাদের পদত্যাগ চাচ্ছে তারা হয়তো বন্ধু, ভাই বা সহপাঠী হত্যার ঘটনায় আবেগ প্রকাশ করেছে। আমরা তাদের আবেগকে সম্মান জানাই। কিন্তু তাদের বুঝা উচিত যে, পদত্যাগ বা এ ধরনের কিছু কোনো একমাত্র সমাধান নয়। শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সকলকেই যেকোনো সংকটে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাবি প্রক্টর আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রথম দিন থেকেই নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছি। আমাদের পক্ষ থেকে অনিচ্ছা বা অনাগ্রহের কোনো কারণ নেই। আমাদের কাছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সর্বাগ্রে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কেউ ভাবেওনি যে, টিএসসি এবং উদ্যানের মাঝে দেয়াল হবে। সেটা হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আরও কিছু গুণগত মান সামনে হয়তো দেখতে পাবে বলে আশা করছি। বিশেষ করে, সাম্য হত্যার বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয় এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সাম্যের সকল খুনীকেই ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ১১টার পর ঢাবি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নবীনবরণ শেষে মোটরসাইকেলযোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাবাব খেতে যান শাহরিয়ার আলম সাম্য ও তার দুই বন্ধু। পরে মোটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন তারা। পথে মুক্ত মঞ্চ এলাকায় অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ওই মোটরসাইকেলের দু-তিন আরোহী ও তাদের সঙ্গে থাকা আরও দু-তিনটি মোটরসাইকেলের আরোহীসহ মোট ১০-১২ জনের সঙ্গে সাম্যদের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা তাদের মারতে শুরু করেন। তারাও আত্মরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। এর মধ্যেই সাম্যকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাম্যকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সাম্য ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। ঘটনার সময় তার সঙ্গে থাকা সহপাঠী আশরাফুল আলম রাফি অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের এবং মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের একই সেশনের।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) সকালে সাম্যের ভাই শরীফুল আলম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো. পলাশ সরদার (৩০)।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, সাম্য তার বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথিমধ্যে রমনা কালী মন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের নিকটে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ব্যক্তি তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তখন আমার সাম্য ও তার দুই বন্ধু তাদের কাছে মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা সাম্য ও তার বন্ধুদেরকে আঘাত করে এবং কিল, ঘুসি ও লাথি মারতে থাকে। এসময় তাদের মধ্যকার একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যের ডান পায়ের ডান রানের পিছনে উপর্যপুরী আঘাত করে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। পরে সাম্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।