
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই নামে মুষলধারে বৃষ্টি। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে বিজয় উল্লাস করেন শিক্ষার্থীরা। পরে টানা তিনদিনের আন্দোলন শেষে হাসিমুখে ক্যাম্পাসে ফেরেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম তিন দফা দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আবাসন সংকট নিরসনে অস্থায়ী হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু হবে।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিশোর সাম্য বলেন, তারা দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা লেটার মার্ক পেয়ে আন্দোলনে সফল হয়েছি। আমাদের তিনটি দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা এতে খুশি। আমাদের বাজেট সম্পূর্ণ না বাড়লেও ১৯/২০ হবে। অবশ্যই এটা ১০/২০ নয়।
আন্দোলনকারী শাহীন আলম বলেন, আমাদের দাবি মোটামুটি মেনে নেওয়া হয়েছে। বলতে পারি ৯০ শতাংশ মেনে নেওয়া হয়েছে। আমরা খুব সন্তুষ্ট বলবো না, তবে অসন্তুষ্ট না। কিন্তু খুশি।
ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফীন বলেন, এ আন্দোলনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এমন সাফল্য অর্জন করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিহাদ বলেন, টানা তিনদিনের সংগ্রাম শেষে আমাদের বিজয় হয়েছে। আমরা এই আনন্দ ধুমধাম করে উদযাপন করতে চাই।
আরেক শিক্ষার্থী মাহফুজ হোসেন বলেন, দাবি আদায় খুব একটা সহজ ছিল না। এজন্য এর আনন্দটাও বেশি। সবাইকে ধুমধাম করে এই বিজয় উদযাপন করার আহ্বান জানাই।
তিন দফা দাবিতে টানা তিনদিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে গণঅনশন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। আনুষ্ঠানিকভাবে অনশন শুরু করেন অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী। এদিন ইউজিসি চেয়ারম্যান সরকার সব দাবি মেনে নিয়েছে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণঅনশন ভাঙান।