
সাভারের আশুলিয়ায় একটি অবৈধ সীসা কারখানার মালিক-শ্রমিক ও তাদের ভাড়াটেদের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহতরা হচ্ছেন- এনসিপির শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক রিফাত আহমেদ ইমন (২৭), বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলা শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব তৌহিদুল ইসলাম সানভী (২৩), সাভার উপজেলার সিনিয়র মুখ্য সংগঠক হৃদয় হাসান (২৪), সিটি ইউনিভার্সিটি শাখার সদস্যসচিব তাওহিদুল ইসলাম শান্ত (২৪), সজীব, ফাহাদ, মেহেদী ও সৈয়দ ইমন।
এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক আহত রিফাত আহমেদ ইমন বলেন, ‘আমরা রাতে শিমুলিয়া এলাকায় ঘুরতে যাই। ঘুরতে ঘুরতে সেখানে বাতাসে উৎকট গন্ধ পাই। পরে এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখি সেখানে অবৈধভাবে কারখানার সীসা পোড়ানো হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা আশুলিয়া থানার ওসিকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলের ভিডিও ধারণ করে দিতে বলেন। পরে ভিডিও করে আমরা গোহাইলবাড়ি এলাকায় গেলে একটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলা ও মারধরের ঘটনায় আমাদের আটজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাহাদী হাসান বুলবুল নামে এক ব্যক্তি পরিবেশ অবৈধ সীসা কারখানাটি পরিচালনা করে আসছে। অবৈধ ওই কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হোসাইন জানান, শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী এলাকায় রাতে একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।