
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার দফা দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের চলমান আন্দোলনের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে কাকরাইল মোড়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন তীব্র সমালোচনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের।
তিনি বলেন, বিপ্লব যদি সফল না হতো, তুমি উপদেষ্টা হতে পারতে না। এখন তোমার আচরণ ফ্যাসিবাদী মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা বরদাস্তযোগ্য নয়। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন তিনি। উপদেষ্টা মাহফুজকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আপনি এক সময় ছাত্র ছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম আপনি আমাদের পাশে থাকবেন, আমাদের কণ্ঠ বুঝবেন। কিন্তু আপনি তা করেননি।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, কেউ আমাদের বলপ্রয়োগে সরাতে পারবে না। দাবি মেনে নিলে দুই মিনিটেই আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবো। তা না হলে আমরা এখানেই থাকবো। বিশ্ববিদ্যালয় এখন কার্যত অটো শাট ডাউন।
আন্দোলন বেগবান করতে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০টি বাসে করে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন। বৃষ্টিতেও আন্দোলন থেমে থাকেনি। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করেন কর্মসূচি—“আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়”, “বাজেট কাটছাঁট চলবে না”, “হামলার বিচার চাই”, “রক্ত নিলে রক্ত নে, জগন্নাথে হল দে।”
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু; জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদন ; দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় অনুমোদন ও বাস্তবায়ন ;১৪ মে পুলিশের অতর্কিত হামলার তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
এদিকে এই আন্দোলন এখন আর কেবল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা এক সম্মিলিত প্রতিবাদের রূপ নিয়েছে।