
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী বলেছেন, আমরা কথার জবাব কথা দিয়ে দেব। কোনোভাবেই কোনো হামলা দিয়ে নয়। আমরা দেখেছি, আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন। মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু আমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষকদের যে পেটুয়া বাহিনী হামলা করলো, তার জন্য কি সরকার থেকে কোনো ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে? করেনি। মনে রাখবেন, একপাক্ষিক মহানুভবতা ভালো কিছু বয়ে আনে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগে আছে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির প্রশ্নে ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ সব সংগঠন এক হয়েছে। তাদের বলবো, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন।
এদিকে টানা ত্রিশ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে, শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশদের বিচারের আওতায় নিতে হবে।