Image description

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত খুবই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে। দেশটির এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও ইসলামী চিন্তাবিদ ড. তুহিন মালিক।

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে ভারতের উদ্বিগ্নের বিষয়ে মন্তব্য করেছেন।

যা যুগান্তরের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো- 

তুহিন মালিক লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন। অথচ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগকে দিয়ে তিন তিনটি প্রহসনের নির্বাচনের সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। বিডিআর, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না।’ 

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে শেখ মুজিবকে দিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। ‌‘আজীবন মনে রাখার’ মত বাংলাদেশ থেকে লুটপাট করার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী নাগরিকদের গুম করে ভারতে তুলে নেওয়ার সময় ভারত উদ্বিগ্ন ছিল না। বাংলাদেশকে দীর্ঘদিন অঙ্গরাজ্যের মত ব্যবহার করে এখন যখন তাদের দল নিষিদ্ধ হলো, এখন সেটাকে তারা নিজেদের অঙ্গহানি মনে করে উদ্বিগ্ন।’

সর্বশেষ তিনি লেখেন, ‘তার মানে, ভারত যেটায় উদ্বিগ্ন, সেটাই বাংলাদেশের জন‍্য সঠিক সিদ্ধান্ত।’

মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল   মনে করেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে যে পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তা অনুসরণ করেনি।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ওই দেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ায় ভারত স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত।