Image description
Abdullah Al Masud (আবদুল্লাহ আল মাসুদ)

 
'পাকিস্তানপন্থী' কিংবা 'পিন্ডির দাসত্ব' এই জাতীয় শব্দগুলো বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় দুরভিসন্ধিমূলক। যাস্ট রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার একটা টুল মাত্র৷ কারণ বাংলাদেশে পাকিস্তানের আধিপত্যবাদী কার্যক্রম নেই।
 
দিল্লি যেভাবে এদেশের ক্ষমতার মসনদকে কন্ট্রোল করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে থাকে, রাওয়ালপিন্ডি সেটা করে না৷ এক কথায় পাকিস্তান বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক।
ফলে যারাই এই জাতীয় শব্দকে তরতাজা করতে চায়, তাদের আমি সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখি।
 
জামায়াতের ৭১ এর ভূমিকা নিয়ে হাজার বার প্রশ্ন করা যায়। সেই সুযোগ না থাকার কারণ দেখি না৷ কিন্তু এটাকে পূঁজি করে কেউ 'পাকিস্তানপন্থা' বা 'পিন্ডির দাসত্ব' টাইপ শব্দের অবতারণা করলে, একে মার্কেটে সচল রাখার চেষ্টা চালালে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াকে জরুরি মনে করি৷
 
যারা জামায়াতের সাথে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় বিরোধের কারণে এসব শব্দকে জায়গা করে দিতে চান তাদেরকে ২টা ঘটনা মনে করিয়ে দিতে চাই। তবে তার আগে একটা নুকতা বলে রাখি৷ সেটা হলো, এই শব্দগুলো মূলত আওয়ামী টুল ছিল। বিপক্ষকে দমন করতে তারা এগুলো ব্যবহার করত৷ যদিও বাংলাদেশের বিদ্যমান বাস্তবতায় এগুলো ছিল বায়বীয় কিছু শব্দ।
 
ঘটনা ২টা বলছি-
১. আওয়ামীলীগের প্রিয় মাওলানা 'ফরিদ উদ্দিন মাসুদ' সাহেব ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এখনকার বাইতুল মুকাররমের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক সাহেবের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাত এটা বলে যে তিনি পাকিস্তানপন্থী। কারণ ছিল তিনি পাকিস্তানে পড়াশুনা করেছেন মাওলানা তকি উসমানী সাহেবের মাদরাসায়। কেউ পাকিস্তানে পড়লেই 'পাকিস্তানপন্থী' হয়ে যায়?
 
২. তালীগের দুঃখজনক মতবিরোধের পরে ডারতের সাদ সাহেবের অনুসারীরা (এতাতিরা) শুরাপন্থীদেরকে মিডিয়ায় 'পাকিস্তানপন্থী' বলে পরিচয় করাত এবং জোরদার প্রচারণা চালাত। কারণ পাকিস্তানে এতাতিদের কার্যক্রম নেই। সেখানে তারা কখনোই সুবিধা করতে পারেনি। আর তারা বুঝত, লীগের আমলে এই ট্যাগটা বেশ কাজে দিবে।
তো এই শব্দগুলোর পক্ষে যদি আজকে আপনি দাঁড়ান, কালকে এগুলো দিয়ে আপনাকেও ঘায়েল করা হবে। ইতিহাস সাক্ষী। এবার সিদ্ধান্ত আপনার।