
দেশের পুঁজিবাজারে চলমান অস্থিরতা নিরসন এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১১ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অর্থবিষয়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গত কয়েক দশকে যারা শেয়ারবাজার লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের বিচার না হলে সাধারণ মানুষের আস্থা আর ফিরে আসবে না। বাজারকে অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে, যা এখনই সংস্কারের মাধ্যমে থামাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পুঁজিবাজার যেন লুটেরাদের আখড়ায় পরিণত না হয়ে সাধারণ মানুষের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, সেজন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া পাঁচটি নির্দেশনা হলো:
১। সরকারের মালিকানাধীন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর শেয়ার কমিয়ে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ।
২। দেশীয় বড় বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে প্রণোদনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।
৩। স্বার্থান্বেষী মহলের কারসাজি রোধে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় তিন মাসের মধ্যে পুঁজিবাজার সংস্কার।
৪। পুঁজিবাজারে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫। বড় ঋণপ্রবণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংকঋণ-নির্ভরতা কমিয়ে পুঁজিবাজার থেকে বন্ড ও ইক্যুইটির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহে উৎসাহিত করা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজারে কাঙ্ক্ষিত স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।