
২০টি মামলা হলেও স্বামীকে ভালোবেসে যাবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামে জোড়া খুনের মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন প্রকাশ ওরফে ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭)। আজ রবিবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থেকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে নগরের বাকলিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তামান্না বলেন, ‘আমাকে ডাবল মার্ডারে হুকুমের আসামি বানাইছিল। আমি তো জামিনে আছি, জামিন পেপার সাবমিট করার পরও আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসছে আমি জানি না। বায়েজিতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নাই। তবে আমাকে অ্যারেস্ট দেখাইছিল, পরে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।’
কাড়ি কাড়ি টাকা দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনতে চেয়েছিলেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাজ্জাদের স্ত্রী বলেন, ‘এ কথাও ভাইয়া আপনার ধরছেন। আমি তখন থেকে এখনো মেন্টালি ডিপ্রেসড। আসলে রাগের মাথায়, আমি তো মানুষ মারব, এমন কথা বলি নাই। হাজবেন্ডকে ভালোবাসি, ভালোবাসব। ১০-২০টা মামলা হলেও আমি আমার হাসবেন্ডকে ভালোবাসব।’
ভালোবাসা দিয়ে স্বামীকে ভালো পথে আনলেন না কেন—এ প্রশ্নের জবাবে তামান্না বলেন, ‘আমার স্বামী ভালো পথে আসছে, কিন্তু শত্রুপক্ষ এখনো মামলা দিয়েছে। আমার হাসবেন্ড ডিবি অফিসে থাকার পরও ডাবল মাডারের আসামি হয়ে গেছে, তাহলে বোঝেন আমার হাসবেন্ডকে কীভাবে ১৮-১৯টা মামলা দিয়ে দিল, এভাবেই দিসে। আমাকেও দিছে। এখন আমি কী করব বলেন। আমার হাসবেন্ডের জামিন হলে আমি তাকে প্রচুর শাসন করব। এত দিনতো আমি ওকে ভয় পেতাম, এখন আর পাব না।’
কারাগারে কি স্বামীর সঙ্গে দেখা হবে—জবাবে তামান্না বলেন, ‘কারাগার তো আমি যাব না, আমার তো জামিন পেপার আছে, আমি কেন কারাগারে যাব? আমি জামিনে আছি, আমাকের জজ কোর্ট থেকে জামিন দিসে, হাইকোর্ট থেকেও জামিন দিয়েছে। আমার রেকর্ড পেপার আপনারা চাইলে এখান থেকে নিতে পারেন। পেপার আছে আমার কাছে কিন্তু আমাকে এখানে কেন আনছে জানি না।’
সরোয়ার ও সাজ্জাদের দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে একসঙ্গে বসে ককটেল মারত, এখন সরোয়ার টাকাওয়ালা হয়ে গেছে আর সাজ্জাদ ধরা পরে গেছে আর কী। সাজ্জাদ ভালো হতে চাচ্ছে, সারোয়ার ওকে ভালো হতে দিচ্ছে না।’
সাজ্জাদ কোন দলের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তামান্না বলেন, ‘সাজ্জাদ বিএনপির সঙ্গে জড়িত, যা ইতোমধ্যে আপনারা আমার ফেসবুক প্রোফাইলে দেখেছেন। তবে কার গ্রুপ করে সেটা আমি জানি না। আমার তো আসলে নতুন বিয়ে হয়েছে, বুঝে ওঠার আগেই তো আমাকে জেলখানায় থাকতে হচ্ছে বেশি। আমার বেশিরভাগ সময় পুলিশের হেফাজতে থাকতে হচ্ছে। আমার বিয়ে আগে কোনো মামলা কিন্তু হয়নি। আমার বিয়ের পর থেকে ৩টি হয়ে গেছে।’