Image description

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধলাখ সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রকাশ করা হতে পারে। প্রথমবারের মতো নারী কোটা ছাড়াই এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে এ পদগুলো পূরণ করা হবে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৮ হাজার ৪৩টি পদ ফাঁকা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় শূন্য পদের সংখ্যা ১২ হাজার হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের জন্য ৫ হাজার ১৬৬ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী এবং পোষ্য কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এরপর সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।’

প্রাথমিকের নতুন নিয়োগ বিধিমালার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে একটি সভা হয়েছে। এখন এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রয়েছে। সেখানে সচিব কমিটির মিটিংয়ে নারী ও পোষ্য কোটা বাতিলের অনুমোদন দেওয়া হলে অর্থ মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেওয়া হবে। এরপর নতুন নিয়োগ বিধির প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’

জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ বিধিমালায় শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। নতুন প্রস্তাবিত বিধিমালায় এ তিন কোটার একটি কোটাও থাকবে না। তবে ২০ শাতংশ পদে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়েল সবশেষ চাকরির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরির সব গ্রেডে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। বাকি ৭ শতাংশ নিয়োগ হবে কোটার ভিত্তিতে। এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রাথমিকেও ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। ৭ শতাংশ কোটার মধ্যে রয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকদের জন্য ১ শতাংশ কোটা। অন্য ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।