
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, রাস্তা ছেড়ে সবার দাবিদাওয়া এমন জায়গায় করা উচিত, যেখানে জনগণের ভোগান্তি না হয়। আজ শনিবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনে শেষে এই কথা বলে তিনি।
সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও এর আশপাশে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ—ডিএমপির এই নির্দেশনা এখনও বলবত আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের যেন দুর্ভোগ না হয় সেজন্য আপনারাও (সাংবাদিক) ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। আপনারাও সচেতন করতে পারেন। সবার দাবিদাওয়া রাস্তা ছেড়ে এমন জায়গায় করা উচিত, যেখানে জনগণের ভোগান্তি না হয়। এব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আপনারা আমাদের সাহায্য করতে পারেন। আপনারা যদি জনগণকে সচেতন করেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যাদের দাবিদাওয়া, আমি তাদের দাবিদাওয়া অযৌক্তিক তা বলব না। কারও যৌক্তিক দাবি থাকলে তা যথাযথ জায়গায় করলে সবচেয়ে ভালো। তারা (আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান) কিন্তু প্রথমে এক জায়গায় অবস্থান নিয়েছিল, বলার পরে তারা শিফট করেছে অন্য জায়গায়। ওই জায়গাতে কিছুটা জনভোগান্তি হচ্ছে। তারপরও ওনারা (আন্দোলনকারীরা) অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রাইভেট গাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশত্যাগের ঘটনায় গাফিলতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের কয়েকজনকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে। কাউকে অ্যাটাচ (সংযুক্ত) করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদনে যারা দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি দেশত্যাগের আগে এসবির পক্ষ থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা ছিল—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কাছে নিষেধাজ্ঞা পাঠাইছে কি না আমি জানি না। আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আপনারা যেহেতু বললেন, আমি খোঁজ নেবো। যেহেতু তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে ব্যবস্থা নেবে। যারা দোষী তাদের শাস্তি পেতেই হবে।’