Image description

মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করা একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ব্যাচেলর পার্টির নামে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কয়েকটি কক্ষ থেকে তরুণ-তরুণীদের আটকের পর মারধরেরও ঘটনা ঘটেছে। যা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।

শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঢাকাগামী এমভি ক্যাপ্টেন নামের লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে লালমোহন গিয়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে পুনরায় ঢাকায় ফিরছিল এমভি ক্যাপ্টেন নামের লঞ্চটি। যারমধ্যে একদল তরুণ-তরুণী পার্টি করছিল। রাত সাড়ে ৭টার দিকে লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রী ওঠানামার জন্য নোঙর করে।

এসময় যাত্রীরা স্থানীয়দের কাছে তরুণ-তরুণীদের বিরুদ্ধে মাদক ও অশ্লীলতার অভিযোগ করলে লঞ্চে অভিযান চালায় স্থানীয়রা। তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। ভাঙচুর করে লঞ্চের কিছু জানালা। মারধর করা হয় দুই তরুণীসহ কয়েকজনকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে ছেড়ে যায় লঞ্চটি।

স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ, ইয়াবা আর গাঁজা সেবন চলছিল লঞ্চটিতে; যার কারণে তারা সেখানে যায়। পরে একটি কক্ষে ছেলেমেয়েদের একসাথে নেশাদ্রব্য সেবন অবস্থায় পায়। এ নিয়েই হুলুস্থুল বাধে।

লঞ্চে আসা শান্ত নামের এক তরুণী জানান, রাজধানীর কামরাঙ্গীচর থেকে তারা এসেছে, সকলে বন্ধু-বান্ধুবী। মুন্সীগঞ্জ ঘাটে ভিরলে মারামারির ঘটনা ঘটে।

ভাইরাল ভিডিওতে দুই তরুণীকে মারধর করা নেহাল আহমেদ জিহাদ জানান, শতশত মানুষ ছিলো। আমি যদি কয়েকটি আঘাত দিয়ে সবাইকে শান্ত না করতাম, তাহলে হয়তো মেয়েগুলোর সাথে আরও খারাপ কিছু হতো। তাদের কয়েকটি মোবাইলও নিয়ে গিয়েছিল। সেগুলো আমি উদ্ধার করেছি।

তাদের দু’জনকে মারধর করা ঠিক হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতেই ভাই হিসাবে এমন কাজ করছি। এর জন্য দুঃখ প্রকাশও করেন তিনি।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম জানান, হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। তবে কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জিডি করে তদন্ত করা হচ্ছে।