Image description

বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাষ্ট্র ও সমাজের প্রত্যেকটি পরিসরে গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত আওয়ামী দুঃশাসনকে বৈধতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির মিলনায়তনে ছত্রিশ: নয়া আজাদির বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের উদ্যোগে "শাপলা ও গণহত্যার সিলসিলা" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে আমার দেশ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ৫ মে হেফাজতের সমাবেশে এদেশের ইসলামপন্থার বিজয় হয়েছে, যদি ৫ মে না আসতো তাহলে আজও আমাদের কলকাতা দিল্লীর শাহবাগী আগ্রাসনের স্বীকার হতে হতো। জুলাইয়ের এ দ্বিতীয় স্বাধীনতার পরে হেফাজতের উচিত শাপলা গণহত্যার বিচারের এক দফা দাবি সরকারের কাছে উপস্থাপন করা।

একুশে পদকপ্রাপ্ত মজলুম এই সম্পাদক আরও বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ আল্লামা সাঈদীর রায়ের পর দেশজুড়ে চালানো হত্যাযজ্ঞ কিংবা ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার প্রয়াস চালিয়ে সফলও হয়েছে স্বৈরাচার।

ছত্রিশের পরিচালক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মাওলানা আজিজুল হক বলেন, দিল্লীর আধিপত্যবাদী গোলাম আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ৫ মে, ২০১৩-এর গণহত্যা চালিয়ে বাংলাদেশের ইসলামপন্থাকে চিরতরে নিঃশেষ করার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু তারা পারে নেই।

জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ২৮ অক্টোবর, ২০০৬ থেকে বাংলাদেশে গণহত্যার রাজনীতির শুরু করেছিল আওয়ামী লীগ যারা সিলসিলায় ঘটেছে পিলখানা গণহত্যা, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিচারিক হত্যাকাণ্ড,শাপলার গণহত্যা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও জুলাই বিপ্লবের গণহত্যা একটি অপরটির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

ছত্রিশের মহাপরিচালক এসএম ফরহাদ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, শাপলা চত্বরের গণহত্যা শুধু একটি রাজনৈতিক নিপীড়ন নয়, এর শিকড় আরও গভীরে। সেই শিকড় অনুসন্ধানে ছত্রিশের এবারের আয়োজন "শাপলা ও গণহত্যার সিলসিলা।