Image description

৬৪ জেলাকে বহুতল উড়াল সড়কে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে শত শত একর জমি প্রতিনিয়ত অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এতে করে মানুষের জীবন ও জীবিকা কেড়ে নেয়া হয়। 

আজ মঙ্গলবার (৬ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজ আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। 

জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ক্ষতিপূরণ দেয়া হলেও ভূমি অফিসের, দালাল, ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির কারণে এর একটি ভগ্নাংশ মাত্র জমি মালিকের কাছে পৌঁছায়। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহের মূল কারণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ।’

ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ভূমি আমাদের একটি অতিপ্রয়োজনীয় সীমিত সম্পদ। আমাদের পূর্বপুরুষরা এ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তাই আমাদের জমি পরিমাপের একক ছিল কাঠা এবং বিঘা। এখন তা ডেসিমেল সিস্টেমে একরে দাঁড়িয়েছে। এক একর সমান ৩.৩৩ বিঘা। ফলে আমাদের ভূমি ভাবনা হয়েছে বাস্তবতা বিবর্জিত। এমন একটা ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে আমরা একটি বিশাল দেশ, আমাদের ভূমি স্বল্পতা নাই।’

তিনি আরও লেখেন, যে হারে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ভূমি অধিঃগ্রহণ চলছে, তা অব্যাহত থাকলে, বসতবাড়ি, কৃষি, শিল্প এমনকি কবরের জায়গাও থাকবেনা! সবচেয়ে বেশি ভূমি সম্ভবত: অধিগ্রহণ করা হয়ে থাকে রাস্তার জন্য। তাই আমরা সড়ক বিভাগ থেকে ৬৪ টি জেলাকে বহুতল উড়াল সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। পর্যায় ক্রমে এটি বাস্তবায়িত হবে। 

রূপপুরে একটা ভালো জিনিস দেখে এসেছি। রাশিয়ান কর্মীদের জন্য গ্রীন সিটি নামে ২০টি ২০তলা ভবনের গ্রীন সিটি নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা, যমুনা সেতু, কর্ণফুলী টানেলের মত নির্মাণ কর্মীদের আবাসনের নামে জমির শ্রাদ্ধ করা হয়নি। ভূমি স্বল্পতার কথা মাথায় রেখেই আমাদের এগুতে হবে।