Image description

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার কার্যালয় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানি ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মামুন অর রশিদ নিজ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

আজ মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান ট্রু থ্রি ফোর ফ্যাসিস্ট ভিসি নো মোর’; ‘এক দফা এক দাবি, স্বৈরাচার তুই কবে যাবি’; ‘দফায় দফায় মামলা, এখন গদি সামলা’; ‘দফা এক দাবি এক, ফ্যাসিস্ট ভিসির পদত্যাগ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার কার্যালয় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানি ও ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ নিজ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী রসায়ন বিভাগের আকরাম বলেন, ‘বর্তমান ভিসি কার্যক্রম ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পরিপূরক হিসেবে কাজ করছেন। যখন আন্দোলন হয়, তখন ছাত্রদের সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু তার দায়িত্ব থাকা সব বিষয়ের কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। এ রকম ভিসি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কি উপকৃত হবে। আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এটা বুঝে আসে না। আমরা ছাত্রছাত্রীবান্ধব একটি ভিসি প্রত্যাশা করি।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আইন বিভাগের তরিকুল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যুক্তিক আন্দোলন করলেই, আন্দোলন দমানোর জন্য স্বৈরাচারের ভিসি মামলা দিয়ে দেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত ধারার চিন্তার পরিপন্থী। আমার জিমি, তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চাইলে তিনি তা করতে ব্যর্থ হন। পরিশেষে বলতে চাই, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ভিসি যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। যেসব শিক্ষার্থী এই ভিসির পক্ষে নেবেন তাদেরও আমরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।’