Image description
 

কুমিল্লায় ৫-১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার বাণিজ্য চুক্তির অভিযোগ উঠেছে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রী হাফসা জাহানের বিরুদ্ধে। ফাঁস হয়েছে এমন কল রেকর্ড।কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের জামাতা সাইফুল আলম রনিকে মামলা থেকে বাঁচাতে ওই এনসিপি নেত্রীর তৎপরতা নিয়ে ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গন তথা নগরজুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

 

হাফসা নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা এবং কেন্দ্রীয় এনসিপির সদস্য।ফাঁস হওয়া কল রেকর্ডে শোনা যায়, মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে বাদীকে পরামর্শ দিচ্ছেন এনসিপি নেত্রী হাফসা জাহান। ফোনে ওই নেত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে ৫ থেকে ১০ লাখ ছাড়া মামলা শেষ করা যাবে না। এই রফাদফা মূলত কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং কুমিল্লা সিটির সাবেক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনার স্বামী সাইফুল ইসলাম রনির জন্য।৫ আগস্টের পর রনির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি এখন পলাতক। স্ক্রিনশটে দেখা যায় মেসেঞ্জারে রনির সঙ্গে ওই এনসিপি নেত্রীর দুই দফায় ৫৬ মিনিট এবং ৩১ মিনিট কথা হয়েছে।অন্যদিকে মামলার বাদী ইনজামামুল হক ভিডিও বার্তায় হাফসার সঙ্গে রনির কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী এবং এনসিপির কতিপয় নেতাকর্মীর এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে একাধিক শহিদ পরিবার।৩ আগস্ট নগরীর পুলিশ লাইনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলার বাদী ইনজামামুল হক বলেন, হাফসা জাহান সাবেক এমপির জামাতা রনিকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমাকে পাঁচ-দশ লাখ টাকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি স্বৈরাচারের দোসরদের বাঁচাতে তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন এবং ফান্ড কালেকশন করছেন। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এনসিপির কেন্দ্রীয় নেত্রীর পদ পান হাফসা জাহান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দলের পদ ব্যবহার করে তদবির বাণিজ্যের। কয়েক দিন আগে ঘুরে এসেছেন চীন থেকে। 

 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনসিপি নেত্রী হাফসা জাহান বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের চক্র কলকাতায় বসে পলাতক থেকে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করে সেই ষড়যন্ত্রের অংশীদার তো আমরা হব না। একজন পলাতক মানুষ তার স্টেটমেন্টের ওপর তো অবশ্যই কোনো কিছু ডিপেন্ড করে না। আমি তদবির বাণিজ্য সংক্রান্ত কোনো কাজে জড়িত নই। ফ্যাসিবাদের দোসররা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।