
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে কোটায় ভর্তিতে ফের ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। আগের বছর এটি বাতিল করা হলেও চলতি বছর আবারও ইউনিটের কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
গত শুক্রবার (২ মে) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত কোটায় ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। আজ রবিবারও (৪ মে) ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিটি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফের সমালোচনার ঝড় বইছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুলে বিজ্ঞপ্তিতে শব্দটি রয়ে গেছে।
কলা অনুষদের কোটার ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ ব্যবহারের বিষয়টি নজরে এসেছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি কলা অনুষদের ডিনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলিছি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোথাও ট্রান্সজেন্ডার শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায়, গত বছরের বা তার আগের বছরের বিজ্ঞপ্তিতে যেটা ছিল, এ বছরও সেটাই চলে এসেছে। আমি কলা অনুষদের ডিনকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে সেটা সংশোধন করছে বলেছে। তিনি দ্রুতই এ ব্যাপারটি দেখবেন।’
এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘শব্দটা ভুলবশত ব্যবহার করা হয়েছে। বিগত বছরের বিজ্ঞপ্তিটা কপি-পেস্ট করতে গিয়ে এমনটা হতে পারে। আমরা বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন করে আবার আপলোড করছি।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি ব্যবহার করার কারণে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানান। পরবর্তীতে প্রশাসনের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ শব্দটি ব্যবহার বাতিল করা হয়।