
ওমরা একটি সুন্নত আমল। হজের পাঁচদিন ছাড়া বছরের যেকোনো সময় ওমরা পালন করা যায়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে হজ ও ওমরা পালনের কথা বলেছেন। বর্ণিত হয়েছে,
وَ اَتِمُّوا الۡحَجَّ وَ الۡعُمۡرَۃَ لِلّٰهِ
আর হজ ও ওমরা আল্লাহর জন্য পূর্ণ কর। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৯৬)
ওমরার ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা একটার পর অপরটা করো। কেননা, হজ ও ওমরা দারিদ্র্য বিমোচন ও গুনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮১০)
অপর এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, ‘এক ওমরা থেকে পরবর্তী ওমরা পর্যন্ত মাঝখানের গুনাহগুলোর জন্য কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি, হাদিস : ১৬৮৩, মুসলিম, হাদিস : ৩৩৫৫)।
ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় ওমরা বলা হয়, নিয়ত করে ইহরামসহ কাবা শরিফের চারপাশ সাতবার তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার সাঈ করা এবং মাথা মুণ্ডানোকে।
হজ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা আবশ্যক হলেও ওমরা পালনের বিশেষ কোনো সময় নেই। তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরা পালন করা বিধেয় নয়। এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরা পালন করা যায়।
একই সফরে একাধিক ওমরা করতে কোনো বাধা নেই। হজের আগেও (হজ না করেও) ওমরা করা যায় এবং হজের পরও বারবার ওমরা করা যায়। তবে রমজান মাসে ওমরা পালনে হজের সমান সওয়াব মিলে। আর শাওয়াল মাস ওমরা করার উত্তম সময়।