Image description

লন্ডনে চিকিৎসা শেষে ৬ মে সকালে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ওইদিন ঢাকায় অবতরণ করবে।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি যাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসায় পৌঁছাতে পারে সে জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে দলটি।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিমানবন্দর এবং চেয়ারপারসনের বাসভবনে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সব নেতাকর্মী দলীয় পতাকা এবং জাতীয় পতাকা হাতে রাস্তার একপাশে দাঁড়াবেন। চেয়ারপারসনের গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল এবং হাঁটা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ।

ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিদিষ্ট জায়গায় অবস্থান করতে হবে। এর মধ্যে মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করবে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান হোটেল পর্যন্ত, ছাত্রদল লা মেরিডিয়ান হোটেল থেকে খিলক্ষেত, মহানগর দক্ষিণ বিএনপি হোটেল রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম, স্বেচ্ছাসেবক দল আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান, কৃষক দল বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড়, শ্রমিক দল কাকলী মোড় থেকে বনানী শেরাটন হোটেল, ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎসজীবী দল বনানী শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার, মুক্তিযোদ্ধা দল, সব পেশাজীবী সংগঠন বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত অবস্থান করবে। এছাড়া মহিলা দল গুলশান-২ গোলচত্তর থেকে গুলশান এভিনিউ রোড, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ গুলশান-২ গোলচত্তর থেকে গুলশান এভিনিউ রোড এবং বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মী যার যার সুবিধামত স্থানে অবস্থান করবেন।

 

গত ৭ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেসে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। দেশে ফিরলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নতুন গাড়িতে চড়বেন। টয়োটা ক্রাউন ব্রাণ্ডের কালো রঙের গাড়িটি এরই মধ্যে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ও তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানও দেশে ফিরছেন। তার নিরাপত্তায় পুলিশ প্রটেকশন চাওয়া হয়েছে।