Image description

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে উড়োজাহাজ লক্ষ্য করে এক তরুণের বল ছুড়ে মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজারের সুগন্ধা সমুদ্রসৈকতের উত্তর পাশে সিগাল পয়েন্টে ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে।

১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকত থেকে ফুটবলটি পা দিয়ে উড়োজাহাজের দিকে ছুড়ে মারেন ওই তরুণ। ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল, বলটি উড়োজাহাজের অবস্থান থেকে আরও ওপরে ওঠার পর নিচে পড়ে গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভিডিও নিয়ে অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। সাইফান হক নামের একজন লেখেন, ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ফুটবল খেলা নিষিদ্ধ করা উচিত। এটা ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, খেলার মাঠ নয়। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে যাঁরা সৈকতে ঘুরতে যান, তাঁরা ফুটবল খেলা নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন।’ রেজাউল করিম নামের আরেকজন লেখেন, ‘কাজটা ভালো হলো না। ফুটবলটা মারার কারণে বিমানটা দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারত।’

 

বিনয় রিসোর্ট নামের একটি আইডি থেকে লেখা হয়, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দর সমুদ্রের একদম কাছাকাছি। সমুদ্রসৈকত থেকে খুব নিচু দিয়ে বিমানকে উড়তে দেখা যায়। আসলে অবতরণের শেষ পর্যায়ে বিমান ২০০ থেকে ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকতে পারে। আর বল সর্বোচ্চ ৫০ ফুট ওপরে তোলা যায়।’ কামরুল হাসান নামের আরেকজন লেখেন, ‘বল যতটুকু উচ্চতায় উঠেছে, বিমান তার চেয়ে কয়েক শ গুণ বেশি উচ্চতা দিয়ে যায়। পাবলিকের কমেন্ট দেখে মনে হয়, এরা জীবনে কক্সবাজার আসেনি।’

জানতে চাইলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজ সাধারণত সমুদ্রসৈকতের ১ হাজার ৪০০ মিটার ওপর দিয়ে যায়। আবার অবতরণের সময় এক হাজার মিটার পর্যন্ত উঁচুতে থাকে। সে ক্ষেত্রে বালুচর থেকে ছুড়ে মারা ফুটবল বিমান পর্যন্ত আসার সুযোগ নেই। তবে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ড্রোন ওড়ানো, আকাশে আতশবাজি নিক্ষেপসহ নানা কার্যক্রম নিষিদ্ধ। উড়ন্ত বিমান লক্ষ্য করে ফুটবল ছুড়ে মারাসহ কোনো কিছু নিক্ষেপ করার বিষয়ে মানুষকে সতর্ক থাকা উচিত।