সময় টেলিভিশনের চাকরিচ্যুত সেই ৫ সাংবাদিককে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে অসত্য ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন তিনি।
সিটি গ্রুপ এবং সময় টিভির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তাকে জড়িয়ে তাদের স্বার্থ হাসিলের নোংরা চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি তার। হাসনাত বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, সেখানে আমি কোনও সাংবাদিকের তালিকা দিইনি এবং চাকরি থেকে বাদ দেওয়া সাংবাদিকদের ব্যক্তিগতভাবে চিনিও না। বার্তা সংস্থা এএফপি এবং বিবিসি বাংলার কাছে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, আমি সিটি গ্রুপ এবং সময় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে কোনও সংবাদিকের তালিকা দিয়েছি এবং কাউকে বরখাস্ত করতে চাপ দিয়েছি, সেটির স্বপক্ষে যদি তাদের কাছে কোনও প্রমাণ থেকে থাকে, সেটি যেন তারা হাজির করেন। যদি হাজির করতে না পারেন, তবে তা যেন স্বীকার করেন।
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই পুরো ষড়যন্ত্রে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। চক্রান্তে পড়ে সময় টিভির মালিকের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়াটা আমার ভুল হয়েছে, যা স্বীকার করতে আমার কোনো দ্বিধা নেই।
হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ১. সময় টেলিভিশনের যে ৫ জন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে- এ ব্যাপারে তার দূরতম সংশ্লিষ্টতা নেই- পাঁচজনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা। ২. যারা প্রকৃতভাবে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ৩. সিটি গ্রুপের মালিক মি. হাসান অসত্য তথ্য দিয়ে আমার চরিত্রহননের যে ষড়যন্ত্র করছে, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ৪. বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশের পর মি. হাসান বারবার বিভিন্ন প্রতিবেদককে দিয়ে আমার সঙ্গে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে যাচ্ছেন। যেগুলোর স্বপক্ষে আমার কাছে পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে। আমি তাদের বলেছি- উনি যদি বিবিসিকে এমন বক্তব্য না দিয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ পাঠাতে।
হাসনাত অনুরোধ জানান, মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে তাকে ব্যক্তি ও সামাজিক অবস্থান ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা বন্ধ করা হোক।