চট্টগ্রামের রাউজানে আরিফুল হক চৌধুরী নামের এক যুবলীগ নেতাকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জালালাবাদ জেএল-৬ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। ওই এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন আরিফুল। পরে দুর্বৃত্তরা মুক্তিপণ হিসেবে স্বজনের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এ বিষয়ে থানায় গেলে অপহরণের মামলা নেয়নি পুলিশ। নিখোঁজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণ করেছে তারা।
আরিফুল হক চৌধুরী রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহেদের খিল গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি রাউজান পৌর যুবলীগের সহসভাপতি। রাজনীতি ছাড়াও ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িত আরিফুল। তার স্ত্রী সৈয়দা হালিমা বেগমের ভাষ্য, ‘বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আমার স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। এদিন রাত পৌনে ৯টায় সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনলাইনেও পাচ্ছিলাম না। আমি আত্মীয়স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাতে আর সন্ধান পাইনি।’
হালিমা বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে তার স্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে মোবাইলে ফোন আসে। রিসিভ করলে অপরিচিত এক ব্যক্তি বলেন, তিনি আরিফুলের সঙ্গে আছেন। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আপনার স্বামী বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, এখন আমার হেফাজতে আছে। কিন্তু আমাকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।’ হালিমা স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার মনে হয়েছে স্বামী আরিফুল সারাসরি কথা বলেননি, অন্যজনের মোবাইল ফোনে সংযুক্ত হয়ে কথা বলেছেন।
ওই ব্যক্তি টাকা জোগাড়ের জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত সময় দেয়। কিন্তু হালিমা টাকা জোগাড়ে ব্যর্থ হলে দুপুর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। তিনি আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ধার করে বিষয়টি জানান। এর পর ওই নম্বর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। হালিমা বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। পরে নিখোঁজ উল্লেখ করে জিডি করে ফিরে আসতে হয়েছে।’
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, কেউ নিখোঁজ হলে জিডি নিয়ে তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিকে অপহরণের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি বলেও দাবি করেন।