Image description

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদা বেগমের মেয়ে।

গত মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন যৌথ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সৈয়দা নীলিমা দোলাকে ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদা বেগমের মেয়ে ও জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগ্নি।

চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের টিমকে বলা হয়েছে, উল্লিখিত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমিটির নিম্নোক্ত সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির প্রস্তাবনার নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।

এ ছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দুজন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন,‘পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার (সৈয়দা নীলিমা) মামা শ্রমিক লীগ নেতা গোলাম নাসির কীভাবে আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছুড়েছে। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের জানা। সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তাকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাইবাছাই করে নেওয়া হলে ভালো হতো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সব আন্দোলনে আমি অতি পরিচিত মুখ। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার।’

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলারও একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি। সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনো ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে বুঝে এবং লিটমাস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেছেন।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক মো. আব্দুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফরিদপুর অঞ্চলের সংগঠক মো. রাকিব হোসেন বলেন, ‘যতটুকু জেনেছি তিনি দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনীতি ও আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মা ও মামার রাজনৈতিক বিষয়টি পরে জানতে পেরেছি। তারপরও যদি তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’