
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সেই প্রশাসনের কফিন বানিয়ে প্রতিবাদী মিছিল করেছেন তারা।
বুধবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েকদিন ধরে ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন ও বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়াসহ চলমান চার দফার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাতে সাড়া না দিয়ে উপাচার্য উল্টো আন্দোলন দমন করার জন্য শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করেছেন । সর্বশেষ মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে অবস্থান নিলেও নির্লিপ্ত ছিল প্রশাসন। তাদের ভূমিকায় মনে হচ্ছে এই প্রশাসন মরে গেছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, ‘মঙ্গলবার আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কে অবস্থান নিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি। তাই আজকে তাদের এই নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে আমরা তাদের মৃত ঘোষণা করে কফিন মিছিল করছি।’
অপর শিক্ষার্থী নাজমুল ঢালি বলেন, ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৪ দফা যৌক্তিক দাবি প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, বরং স্বৈরাচার উপাচার্য আন্দোলন দমানোর জন্য ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা করেছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে এবং প্রশাসনের নিস্তব্ধতার কারণে এ কর্মসূচি দেই।’
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন ও বিতর্কিত সকল কর্মকাণ্ডের জন্য উপাচার্যকে ক্ষমা চাওয়া, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার, তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলে পুনর্বহাল করা, আওয়ামী লীগের পদধারী রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণ করা এবং ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সমর্থক শিক্ষক-কর্মচারীদের অপসারণ করা।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।