Image description

Mahmud Rakib ( মাহমুদ রাকিব)

পার্থক্য কি জানেন?
 
গত ১৫/১৬ বছর এই বাংলাদেশে পুরো একটি টেলিভিশন বা পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার পরও কোন একজন গণমাধ্যমকর্মী প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারে নি। পুরো একটি টেলিভিশন বা পত্রিকা বন্ধ হওয়া মানে ৫-৬শ মানুষ এক মুহূর্তে বেকার হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ৫-৬শ মানুষের চাকুরী চলে যাওয়ার পরও এর প্রতিবাদে কেউ টু শব্দ করতো না। বরং আমাদের সাংবাদিক নেতারা ঐ টেলিভিশন বা পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিছিল মিটিং করতো। আর দেশের পক্ষে লেখার কারণে যখন অহরহ গণমাধ্যমকর্মীদের চাকুরী চলে যেতো তখন প্রতিবাদ তো দূরে থাক, যার চাকুরী খেয়ে দেয়া হতো, সে নিজেও ভয়ে এর প্রতিবাদ করতে পারতো না। উল্টো চাকুরী খেয়ে দেয়ার বিষয়টি ভয়ে ঐ গণমাধ্যমকর্মী কাউকে বলতেও পারতো না! নিজের মধ্যে নিজে লুকিয়ে থাক
তো।
এই যে সম্প্রতি কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর চাকুরী চলে যাওয়া (পড়ুন দালাল, চাটুকর ও ধুর্ত টেলিভিশন মালিকরা তাদের বলি দিলো) নিয়ে এতো হইচই, এতো লেখালেখি, এতো সংবাদ, এতো বিবৃতি… বিশ্বাস করেন যখন দিগন্ত টেলিভিশন, আমার দেশ পত্রিকা তৎকালীন সরকার জোর করে বন্ধ করে দিয়েছিলো, ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ তো দূরে থাক, জাতীয় গণমাধ্যমগুলোও তেমন কোনো সংবাদ প্রচার/প্রকাশ করে নি। কিংবা করতে দেয়া হয় নি। এখন যারা নিজেদের পেশাদার পেশাদার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন, তখন তাদের এই পেশাদারিত্ব ঘুমিয়ে ছিলো।
 
এখন তো আমরা অন্তত সহকর্মীর চাকুরী চলে যাওয়ার প্রতিবাদে দুই লাইন লিখতে পারছি। বড় বড় ফটোকার্ড করে সংবাদ প্রকাশ করতে পারছি। টকশো টেবিল চাপড়ে সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করতে পারছি!!! এটা বা কম কিসে? এতটুকু সংস্কার তো অন্তত হয়েছে। কিছুটা হলেও তো মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে এসেছে। প্রতিবাদটুকু তো করতে পারছি। প্রতিবাদ করলে তো আপনার বাসায় পুলিশ যাচ্ছে না!
আমার বিশ্বাস, আমরা যদি নতুন করে কারো দালালি শুরু না করি তাহলে মত প্রকাশের এই স্বাধীনতা দিন দিন আরো বাড়বে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। ✊