Image description
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চারদিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে প্রায় ১০ গ্রামের ৩ হাজার পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। শনিবার রাত ৯ টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। পরে কাল বৈশাখী ঝড় হয়।
 
 
এতে উপজেলার প্রায় দুইশ স্থানে বিদ্যুতের তারে গাছ ভেঙে পড়াসহ তার ছিরে পড়ে। এরপর থেকে মূলত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৩ হাজার পরিবার।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মাগুড়া ইউপির সিঙ্গেরগাড়ী, পাঠানপাড়া, শাহপাড়া, চাঁদখানা ইউপির নগরবন্দ, সরঞ্জাবাড়ী, রণচন্ডী ইউপির অবিলের বাজার, সোনাখুলি, গাড়াগ্রাম ইউপির অন্তত ১০টি গ্রাম অন্ধকারে রয়েছে।
 
পল্লী বিদ্যু অফিস সূত্র জানা গেছে, শনিবারের ঝড়ে উপজেলায় বিদ্যুতের তারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য তার ছিড়ে গেছে। ট্রান্সফারমার নষ্ট হয়ে গেছে। সেকশন ফিউজ কেটে গেছে। ফলে উপজেলার প্রায় ৩ হাজার পরিবার এখনও বিদ্যৎবিহীন রয়েছে।
 
চাঁদখানা ইউপির নগরবন্দ গ্রামের শাহজাহান জানান, শনিবার ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায়নি। গ্রামে শত শত পরিবার অন্ধকারে রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। এছাড়া অন্ধকারের কারণে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
পল্লী বিদু্যৎ অফিসের ডিজিএম নুরুজ্জামান দৈনিক আমার দেশকে বলেন, শনিবারের ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের ৬টি খুঁটি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। অসংখ্য তার ছিড়ে গেছে। ট্রান্সফারমার নষ্ট, সেকশন ফিউজ কেটে যাওয়া ও তার ছিড়ে পরায় গ্রাম পর্যায়ে এখনও প্রায় ৩ হাজার পরিবার বিদু্যৎ বিহীন রয়েছে। আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে। আজ মঙ্গলবার রাত অথবা কাল বুধবারের মধ্যে এ সকল পরিবার বিদ্যুৎ পাবে বলে আশা করছি।