Image description

কলেজপড়ুয়া ভাতিজিকে নিয়ে পালিয়েছেন রিপন চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ নেতা। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে এ বিষয়ে ভোক্তভোগী মেয়ের বাবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নে।

অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪নং ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি আওয়ামী যুবলীগের একই ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিনি তিন সন্তানের জনক। ওই কলেজছাত্রী সম্পর্কে তার ভাতিজি।

মেয়ের বাবা জানান, রিপনের বাড়ি আমার বাড়ি পাশাপাশি। সে সম্পর্কে আমার ভাই। আমার মেয়ে কলেজে যাওয়ার সময় প্রায় রিপন তাকে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে সে মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বিষয়টি আমাকে বলার পর আমি তার পরিবারকে বিষয়টি জানাই। তখন সে এবং তার পরিবারের লোকজন আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়। সে যুবলীগের বড় নেতা হয়ে এলাকায় কারো পরোয়া করত না। এজন্য আমি ভয়ে আর কারো কাছে যাইনি।

তিনি আরও জানান, সরকার পতনের পর সে কিছুদিন লুকিয়ে থাকলেও এখন আবার প্রকাশ্যে আসে। গত শনিবার সকালে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে রিপনসহ কয়েকজন মিলে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এখনো মেয়ের কোনো খোঁজ পাইনি।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রিপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, কলেজছাত্রীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা এ বিষয়ে খোঁজখরব নিচ্ছি। রিপনের মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কলেজছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।