Image description
 

ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তার আগে প্রয়াত পোপের মরদেহ শায়িত রয়েছে সেইন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায়। বৃহস্পতিবার হাজারো মানুষ সেখানে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছিলেন ফ্রান্সিসের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর উদ্দেশে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সেন্ট পিটার্স স্কয়ার এবং আশপাশের সড়কজুড়ে মানুষের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়, যা একপর্যায়ে গির্জার মূল বেদির দিকে এগিয়ে যায়। সেখানেই একটি মঞ্চের ওপর রাখা হয়েছে খোলা কফিনে রাখা পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ।

বুধবার থেকে এই শ্রদ্ধানুষ্ঠান শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে, কর্তৃপক্ষ মধ্যরাতে দরজা বন্ধ করার পরিকল্পনা করেছিল। তবে জনসমাগমের কারণে স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর সকাল ৭টা থেকে আবারও ব্যাসিলিকার দরজা খুলে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্য থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন পেগি ও রিচার্ড ল্যাম্ব দম্পতি। তারা দুজনই একনিষ্ঠ ক্যাথলিক।

রিচার্ড বলেন, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আমরা লাইনে অপেক্ষা করেছি। দাঁড়িয়ে  থাকতে থাকতে পা অনেকটা যেন অবশ হয়ে পড়েছিল। তবে ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানাতে পেরে যেন সব সার্থক হল। ক্লান্ত বোধ করলেও আমরা আত্মিক প্রশান্তি লাভ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনের ভক্তদের সঙ্গে লাইনে অপেক্ষা করেছি। এটি আমাদের জন্য ছিল দীর্ঘ এবং পরিপূর্ণ এক অভিজ্ঞতা।

সোমবার সকালে ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের সান্তা মার্তা অতিথি ভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ ফ্রান্সিস। দীর্ঘ এক যুগের দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্যাথলিক চার্চে সংস্কার আনার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, যা অনেক সময় প্রচলিত ধারার পক্ষে থাকা গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধ তৈরি করে।

তবে তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েছেন ক্যাথলিক বিশ্বের সদস্যরা। রোমের বাসিন্দা আলেসান্দ্রা কাকামো বলেছেন, ফ্রান্সিস ছিলেন অসাধারণ একজন পোপ। তাকে আমার অনেক মনে পড়বে। মনে হচ্ছে, আমি যেন নিজের একটা অংশ হারিয়ে ফেলেছি।