Image description

বিশ্ববাজারে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। এই প্রভাব পড়েছে দুবাইয়ের সোনার বাজারে। ২২ ক্যারেট সোনার দাম ছাড়িয়েছে ৩৭০ দিরহাম, আর ২৪ ক্যারেট পৌঁছে গেছে ৪৪০ দিরহামের ওপরে। প্রতি দিরহাম ৩৩.১৭ টাকা দরে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ২৭৩ ও ১৪ হাজার ৫৯৪ টাকা।

এই ক্রমবর্ধমান দামের কারণে বদলে গেছে ক্রেতাদের কেনাকাটার ধরনও। এখন অনেকেই এককালীন সোনা কেনার বদলে মাসিক কিস্তিতে কেনাকে বেছে নিচ্ছেন। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে গালফ নিউজ।

দুবাইয়ের শীর্ষস্থানীয় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় এখন নানা স্কিমের মাধ্যমে মাসিক কিস্তিতে সোনা কেনার প্রবণতা বাড়ছে। ১ হাজার থেকে ২ হাজার পর্যন্ত মাসিক কিস্তি রাখা যাচ্ছে, কিন্তু চাইলে এর থেকেও কমে শুরু করারও সুযোগ আছে। নির্দিষ্ট সময় পর জমা করা অর্থের বিনিময়ে ক্রেতারা সোনা, কয়েন, বার অথবা গয়না যেকোনো রূপে তাদের পছন্দের সোনা পেয়ে যাবেন।

ক্রেতারা অনেকেই এখন সোনার দাম কমার অপেক্ষায় থাকেন। তবে কিস্তি পদ্ধতির সুবিধা হলো, এতে তারা বাজারে এখনই প্রবেশ করতে পারছেন এবং পরে সুবিধাজনক দামে সোনার মালিক হতে পারছেন।

দুবাইপ্রবাসী মন্দর খাতু বলেন, ‘এই স্কিমের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনি চাইলে ১২ মাসের পরে আরও এক বছর বাড়াতে পারেন। আমি প্রথম বছর শেষে এক মাসের কিস্তি বিনামূল্যে পেয়েছি।’

দুবাইয়ে সোনা কেনার অপূর্ব সুযোগ

এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‌‘আমাদের এমন কিছু অনাবাসীও আছেন, যারা নিয়মিত সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসেন এবং কিস্তি পরিকল্পনার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে চান। অনেকের কাছে এটা উপলব্ধি হয় যে এলোমেলো সোনা কেনার চেয়ে পছন্দের গয়না কিনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।’

এই নতুন পদ্ধতিতে শুধু প্রবাসীরাই নন, দুবাইয়ে ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘আগে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে সোনা কেনা হতো, এখন ক্রেতারা পরিকল্পনা করে, ধাপে ধাপে কিনছেন।’

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে গয়নার বিক্রি কিছুটা কমলেও সোনার বার ও কয়েনের বিক্রি বেড়েছে। এর মানে সোনা এখন শুধু অলংকার নয়, বরং নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবেই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়েছে। এর প্রভাবেই দুবাইয়ে ২২ ক্যারেটের দাম পৌঁছেছে ৩৮৮ দিরহামে, আর ২৪ ক্যারেট ৪১২ দিরহামে। অক্টোবর ২০২৪ থেকে এই ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় এবং মাত্র ছয় মাসে দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।