
চিকিৎসকদের পেশাগত মান যাচাইয়ে লাইসেন্সিং পরীক্ষা চালু করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, মানুষের আস্থা ফেরাতে লাইসেন্স পাওয়া চিকিৎসকদেরও নিয়মিত নবায়ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় কিনা- সেটিও বিবেচনায় আনা উচিত।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চিকিৎসক সপ্তাহ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সায়েদুর বলেন, শুধু দুই-তিনটা পেশায় ‘প্র্যাকটিস’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। তার মধ্যে একটি হলো চিকিৎসা। ধারাবাহিকভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হয় এমন পেশাগুলোর মধ্যে চিকিৎসা পেশা অন্যতম। সেই ধারাবাহিক জ্ঞানটা আদৌ চিকিৎসকরা অর্জন করছেন কিনা, সেটা নিশ্চিত করার জন্য একটা প্রফেশনাল পদ্ধতি থাকা জরুরি। এই পদ্ধতিটি কিভাবে হবে, কারা পরিচালনা করবেন- এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের প্রায় ১১০টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সেখান থেকে পাশ করা স্নাতকদের মধ্যে অনেক বড় ধরনের মানের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। এই পার্থক্যের মধ্যে যদি কোনো বটমলাইন নির্ধারণ করা না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে গিয়ে নিরাপদ থাকবেন না।
‘বাংলাদেশ বিনির্মাণে দরকার, চিকিৎসা খাতে সংস্কার’ শিরোনামে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শাহীনুল আলম, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালকসহ বিএমইউর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও চিকিৎসক সপ্তাহ উদযাপন কমিটির সদস্যরা।