
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী আবুল হাশেম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, পূর্বশত্রুতা ও প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে ১০ জন মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা ও অপরাজিতা দাশের কাছে আসামিরা জবানবন্দি দেন। সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) বায়েজীদ আকন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি আক্তার হোসেন, ১১ নম্বর আসামি রাকিবুল ইসলাম এবং তদন্তে শনাক্ত হওয়া বেলায়েত হোসেন মামুন ও সোলেমান। জবানবন্দি শেষে আসামিদের আদালত থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান বলেন, পূর্বশত্রুতা, বেলাল হত্যা মামলায় বিএনপি কর্মী আবুল হাশেমের সংশ্লিষ্টতা এবং স্থানীয় সুফিয়ান মেম্বারকে পঙ্গু করার ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা।
জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ২২ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তাঁরা বোরকা ও মাস্ক পরে সাজেদা ফাউন্ডেশনের পেছনে অবস্থান নেন। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাশেম সড়কটি অতিক্রম করার সময় তাঁরা রশি দিয়ে হাশেমের পথরোধ করেন এবং রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।
সোনাগাজী থানার ওসি বায়েজীদ আকন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার সাতজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অন্য তিনজন এখনো জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত সোমবার ভোরে ওলামা বাজারসংলগ্ন এলাকায় ৫০ বছর বয়সী বিএনপি কর্মী আবুল হাশেমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এদিন নিহতের বাবা আবদুর শুক্কুর বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।