
বাংলাদেশের লাখ লাখ মাদরাসা শিক্ষার্থীর জন্য প্রযুক্তি শিক্ষা চালু করতে কাতার চ্যারিটির সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে সংস্থাটির এতিম পৃষ্ঠপোষকতা কর্মসূচি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি বিতরণসহ চলমান মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতার মতো উদীয়মান প্রযুক্তি শেখার আগ্রহের ওপর জোর দেন।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনো সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশি মাদরাসাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে এবং তাদের পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘মাদরাসার শিক্ষার্থীরা খুব দ্রুত শিখতে পারে। তারা দ্রুত এই দক্ষতাগুলো রপ্ত করবে।’
জবাবে কাতার চ্যারিটি প্রধান বলেন, সংস্থাটি ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মাদরাসাকে জীবন-দক্ষতা এবং জীবিকা কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে। তিনি আশ্বাস দেন, প্রস্তাবটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অব্যাহত মানবিক সহায়তার ওপরও আলোকপাত করা হয়। অধ্যাপক ইউনূস কাতার চ্যারিটির প্রতি এলপিজি বিতরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং শরণার্থীদের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
নারী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মেয়েদের, বিশেষ করে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সুনির্দিষ্ট সহায়তার আহ্বান জানান।
দুই নেতা বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ উদ্যোগ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে তাদের কার্যকর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ইউনূস দারিদ্র্য বিমোচনে প্রসার এবং কার্যকারিতা সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের বেসরকারি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব অন্বেষণে কাতার চ্যারিটিকে উৎসাহিত করেন।