
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিনকে নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনৈক মীর জাহান নামে এক ব্যক্তি। স্ট্যাটাসে তিনি পতিত আওয়ামী সরকারের দোর্দণ্ড প্রতাপ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সঙ্গে মাহদী আমিনের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।
মীর জাহান প্রশ্ন তুলে জানতে চেয়েছেন মাহদী আমিনের কাছে যে এই ছবির পটভূমি কি? ছবিটিতে জুনায়েদ আহমেদ পলককে ঘিরে বসে আছেন দুইজন ব্যক্তি আর বা পাশে দাঁড়িয়ে আছেন মাহদী আমিন।
অন্যদিকে ঢাকাটাইমস- এর হাতে আসা আরেকটি ছবিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের সঙ্গে মাহদী আমিনকে দেখা গেছে। ছবিটি ২০২২ সালে নিউইয়র্ক এ তোলা; যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি সামিটের একটি ব্যানার দেখা যাচ্ছে।
এসব বিষয়ে মাহদী আমিনের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করে ঢাকাটাইমস। প্রথমে মাহদী আমিন ঢাকাটাইমস প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। পরবর্তী তিনি ফোন দিয়ে প্রতিবেদককে বলেন— ‘বিষয়টি আমাকে নিয়ে অপপ্রচার মাত্র।’ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি রয়েছে— সেগুলো অপপ্রচার কীভাবে হয় প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বা নিউজ না করলে হয় না?’
এদিকে মাহদী আমিনের বাবা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের আওয়ামী লীগ প্রীতি এবং ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়ার ছবিও নানাভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে এখন নানামুখী আলোচনা চলছে।
এছাড়াও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক প্রয়াত এমপি আসলামুল হক ও মাইনুল হাসান নিখিলের পাশে মুজিবকোট পরে রুহুল আমিনের নৌকায় ভোট চাওয়ার দৃশ্য দেখিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন— যাদেরকে ফ্যাসিস্ট বলা হচ্ছে তাদের পক্ষে থাকা ব্যক্তির ছেলে কীভাবে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হতে পারেন? আর যদি হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট বলার নৈতিক অধিকার থাকে? এতে তো মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা যায়।
একদিকে আওয়ামী লীগকে গালি দেওয়া হবে আরেকদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া ব্যক্তির ছেলে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে উঠবেন সেটা কতটা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
(ঢাকাটাইমস