
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে। কোনো ঘটনা আড়াল করা যাবে না। মামলার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
সোমবার রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মার্চ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ডিএমপির পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিবিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার আরো বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ডিএমপির প্রতিটি থানার ওসিকে মামলা তদন্ত করতে হবে। থানা এলাকার প্রতিটি ভবনের সিকিউরিটি গার্ডদের সাথে থানার টহল টিমের সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোন অপরাধের তথ্য তাদের কাছে থাকলে তারা যেন পুলিশকে সেই তথ্য প্রদান করে সেইভাবে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অপরাধ যাতে না ঘটে তার জন্য প্রতিরোধমূলক পুলিশি কার্যক্রম বাড়াতে হবে। আপনারা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন বলে ছিনতাই অনেকাংশে কমেছে। আবার যেন এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মামলা নিষ্পত্তি ও ওয়ারেন্ট তামিল বাড়াতে জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ বিনয়ী থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই দৃষ্টিকটু ও অপেশাদার আচরণ করা যাবে না। পবিত্র মাহে রমজান, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় ডিএমপির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
অপরাধ সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ডিএমপির পুলিশ সদস্যদেরকে আউট অফ বক্স কাজ করতে হবে। ট্র্যাফিক বিভাগের সদস্যদের ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জনগণের চাওয়া পাওয়াকে সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করে পুলিশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিল আরো বাড়াতে হবে। চিহ্নিত অপরাধী গ্রেপ্তারে রেইড নিয়মিত করতে হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন চলতি বছরের মার্চ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন-ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। এসব বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয় সভায়।
মাসিক অপরাধ সভায় মার্চ মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কার দেন ডিএমপি কমিশনার।