Image description

এক বছর ধরে পাকস্থলির ক্যানসারে ধুঁকছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মোমেনা বেগম (৫৫)। শুরুতে বিভাগীয় মেডিকেলে, পরে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু অর্থাভাবে মাঝপথে থেমে যায় চিকিৎসা। গরু বেচে দুই মাস আগে আসেন রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিআরএইচ)।

চিকিৎসক জানান, দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু শয্যা না পাওয়ায় ফেরত যান। সম্প্রতি বুকের জ্বালাপোড়াসহ নানা জটিলতা তীব্র আকার ধারণ করলে আবারও এ হাসপাতালে আসেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় দফায়ও গত দুই সপ্তাহ ধরে মেলেনি শয্যা। ভর্তি হতে না পারায় চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছেন মোমেনা।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায় যায়, গুরুতর অসুস্থতা নিয়েই হাসপাতালের সিঁড়ির নিচে কাতরাচ্ছেন মোমেনা বেগম। পাশে বসা ছেলের স্ত্রী রত্না আক্তার জানান, ‘ডাক্তার বলেছেন, ভর্তির পর মূল চিকিৎসা শুরু হবে। কিন্তু দুই মাস ধরে দফায় দফায় ঘুরেও ভর্তি করাতে পারছি না। দ্রুত অস্ত্রোপচারের আশায় দুই লাখ টাকার গরু সোয়া লাখ টাকায় বিক্রি করে ঢাকায় এসেছি। ইতঃমধ্যে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া, দু’জনের থাকা-খাওয়া ও ওষুধে টাকার বেশির ভাগই শেষ হয়েছে। তবে কী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাবে?’

মোমেনার মতো একই দুঃখের গল্প অনেকেরই। ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসায় দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এ হাসপাতালে চিকিৎসাবঞ্চিতের এটা এখন স্বাভাবিক চিত্র। গত চার বছরে একের পর এক পরিচালকের পরিবর্তন হলেও হাসপাতালটির সেবার মান বদলাচ্ছে না। উল্টো পাঁচ বছর আগেও চিকিৎসা পাওয়া যেত, তার অনেকগুলো বিভাগ এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতালটির এমন ভগ্নদশার জন্য সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের চরম ব্যর্থতা দায়ী। সেবার মানোন্নয়নে হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে পদক্ষেপ নিলেও নানাভাবে বাধার শিকার হন। সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠানটিকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া অথবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।

পাঁচ বছরে চার পরিচালক

২০২০ সাল থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ বছরে ক্যানসার হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন চারজন অধ্যাপক। প্রত্যেকই পরিবর্তনের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো আগে যেসব সেবা ছিল তার অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে। রোগ নির্ণয়ে সব ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষার সিংহভাগ করাতে হচ্ছে বাইরে থেকে। প্রয়োজনের অর্ধেক ওষুধ পাচ্ছে বহির্বিভাগের রোগীরা, এমনকি ভর্তি রোগীদেরও ওষুধের সিংহভাগই কিনতে হচ্ছে নিজস্ব খরচে।

বিভিন্ন মেয়াদে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা হাসপাতালের তালিকা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি পরিচালকের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক ডা. কাজী মুশতাক হোসেন। রেডিওথেরাপির চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় দায়িত্ব নিয়েই নতুন যন্ত্র কেনার উদ্যোগ নেন তিনি। প্রায় দুই বছর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার সময় রেডিওথেরাপির পাশাপাশি নষ্ট ছিল এমআরআই ও সিটি স্ক্যানের মতো জটিল ও দামি পরীক্ষানিরীক্ষার যন্ত্রপাতি।

তার বিদায়ের পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দোপাধ্যায়কে। বেশির ভাগ যন্ত্র বিকল ও রোগীদের ভোগান্তির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে যন্ত্র কেনায় তার সদিচ্ছার অভাব ছিল না বলে জানান হাসপাতালটির একাধিক চিকিৎসক।

তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেকের পছন্দের কোম্পানির মাধ্যমে না কেনায় পুরো প্রক্রিয়া আটকে যায় বলে জানান হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপক। আর রেডিওথেরাপি যন্ত্র কিনতে সক্ষম হলেও দায়িত্বে থাকা অবস্থায় চালু করে যেতে পারেননি অধ্যাপক ডা. নিজামুল হক। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালকের পদে ছিলেন তিনি। দীর্ঘসময় দায়িত্বে থেকেও দুটি যন্ত্র কেনা ছাড়া চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে ব্যর্থ হন তিনি।

বর্তমানে এই পদে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবীর। দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি যন্ত্র চালুর পাশাপাশি হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে পারেননি। এজন্য লোকবলের সংকটকে দায়ী করেছেন তিনি।

বন্ধ রেডিওথেরাপি, ফিরে যাচ্ছে শত শত রোগী

২০২০ সালে ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে প্রতি মাসে তিন হাজারের বেশি রোগী রেডিওথেরাপি নিতে পারতেন। কিন্তু হাসপাতালটিতে এখন এই সেবা পুরোপুরি বন্ধ। সূত্র জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশক থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে বিভিন্ন সময়ে চারটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর ও দুটি কোবাল্ট এক্সিলারেটর কেনা হয়। আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় চারটি যন্ত্র বাতিল ঘোষণা করা হয় ২০১০ সালের আগেই। বাকি দুটি যন্ত্র ২০২৩ সাল পর্যন্ত কয়েক ধাপে মেরামত করে চালু রাখলেও প্রায় দেড় বছর ধরে এগুলো স্থায়ীভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী।

গত বছরের শুরুতে দুটি লিনিয়ার এক্সিলারেটরের একটি সরাসরি হাসপাতালের বরাদ্দে কেনা হয় ২৮ কোটি টাকা মূল্যে। অন্যটি কেনা হয় কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) মাধ্যমে, মূল্য ৩৭ কোটি টাকা। তবে এখন পর্যন্ত সেগুলো চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চিকিৎসাবঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি ক্যানসার দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান যন্ত্র দুটি উদ্বোধন করেন। তবে বাস্তবতা বলছে, সেগুলো এখনো চালু হয়নি।

দুই বছর ধরে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আঁখি আক্তার (৪৬) প্রথমে বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসা নিলে থেরাপির জন্য পাঠানো হয় মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতালে। তিন মাস আগে হাসপাতালে এসে জানতে পারেন রেডিওথেরাপি বন্ধ, মার্চে চালু হবে। সে অনুযায়ী, গত ১৬ মার্চ হাসপাতালে আসেন। কিন্তু তিনি জানতে পারেন সেবাটি এখনো চালু হয়নি।

রেডিয়েশন অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রকিব উদ্দীন আহমেদ আমার দেশকে বলেন, ‘রেডিওথেরাপি যন্ত্র কিনতে ২০২১ সাল থেকে ৩৩টি চিঠি দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। তারপরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নতুন কেনা দুটি রেডিওথেরাপি চালু করতে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের সমস্যায় রেডিয়েশন বের হয়ে যাচ্ছে।

এটা ঈদের আগে ঠিক করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, রেডিওথেরাপি যন্ত্র আসে দেশের বাইরে থেকে। সেগুলো ইনস্টলও করেন বিদেশের ইঞ্জিনিয়াররা। সরকারের নিমিউ অ্যান্ড টিসি থাকলেও মেরামত করার মতো দক্ষতা তাদের নেই। ফলে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষের পর নষ্ট হলে মেরামতে দীর্ঘসময় লাগে। এটিও বড় সমস্যা।

পরীক্ষা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে

মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতালটিতে দেড় যুগ আগে একটি ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (এমআরআই) যন্ত্র যুক্ত করা হয়েছিল। দেড়-দুই বছর চলার পরই যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়লেও আর সেটি মেরামত কিংবা নতুন যন্ত্র কেনা হয়নি। এ ছাড়া বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানটিতে দুটি এক্সরে যন্ত্রের একটি, দুটি সিটি স্ক্যানের একটি স্থায়ীভাবে বিকল রয়েছে।

তবে দীর্ঘদিন বিকল থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে এন্ডোস্কোপি ও কোলনোস্কোপি। হাসপাতালটিতে পরীক্ষানিরীক্ষার এমন বেহালদশার ফায়দা তুলছে আশপাশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষ করে হাসপাতালের কয়েকশ মিটার দূরে অবস্থিত লাইফ কেয়ার মেডিকেল সেন্টার এবং বাড্ডার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগ রোগীকে।

ক্যানসার হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানের নামও বলে দেন রোগীদের। বিনিময়ে লোভনীয় কমিশন পান তারা। ময়মনসিংহের জোবেদা খাতুন নামে একজন রোগী গত ২৫ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই সময়ে তাকে ১৫টির মতো পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে হয়েছে।

কিন্তু মাত্র চারটি টেস্ট হাসপাতালে করাতে পেরেছেন বাকিগুলো বাইরে করাতে হয়েছে। গত ১৮ মার্চ হাসপাতালে জোবেদার ছেলে মোক্তার উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি হাসপাতাল হলেও বেশির ভাগ ওষুধ ও পরীক্ষানিরীক্ষা কিনতে হয় বাইরে থেকে। তিনদিন আগে অপারেশন করেছে, সেখানে যত ওষুধ প্রয়োজন প্রায় সবই বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। একদিন আইসিইউতে ছিল, সেখানেও ওষুধ দেওয়া লাগছে। বেড, স্যালাইনসহ কয়েকটি ওষুধ হাসপাতাল থেকে দিয়েছে।

অর্ধেক জনবলে চলছে চিকিৎসা

১৯৮২ সালে যাত্রা শুরু হয় মহাখালী ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের। ১৯৯১ সালে ৫০ শয্যার অন্তঃবিভাগ চালু হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগী আসায় ৩০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এরপর ২০২১ সালে ৫০০ শয্যা চালু হয়। তবে বাড়ানো হয়নি চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবল। ৩০০ শয্যার লোকবল দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে সংকট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর কবীর আমার দেশকে বলেন, ‘আগের রেডিওথেরাপি মেশিনগুলোর সবকটিই পরিত্যক্ত। নতুন দুটি যুক্ত করা হয়েছে। চালু করতে গিয়ে দেখা যায় বাংকারে লিক হয়ে রেডিয়েশন বের হচ্ছে। এটা ঠিক হতে সময় লাগছে। ঈদের আগেই চালু হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, ৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ভর্তিযোগ্য রোগী অনেক বেশি। তাই দুই মাসেও অনেকে ভর্তি হতে পারেন না।

আবার যে পরিমাণ ভর্তি থাকে তাদের চিকিৎসায়ও পর্যন্ত লোকবল নেই। ৫০০ শয্যার হাসপাতাল হলেও জনবল রয়েছে ৩০০ শয্যার। তবে ওষুধের তেমন সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু পরীক্ষা এখানে বন্ধ থাকায় বাইরে করাতে হচ্ছে। পাশাপাশি অসাধু কিছু চিকিৎসকের কারণেও রোগীদের বাইরে যেতে হয় বলেও স্বীকার করেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালটি মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। প্রতিটি বিষয় তারা দেখেছেন, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন। সে অনুযায়ী, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। জনবল সংকট শুধু ক্যানসার হাসপাতাল নয়, সারাদেশের হাসপাতালেই রয়েছে। এজন্য নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান আমার দেশকে বলেন, বিদ্যমান জনবল ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেই সেবার মান সন্তোষজনক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমআরআই, সিটি স্ক্যান যন্ত্র কেনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানো, চিকিৎসক এবং অন্যদের বৈকালিক রাউন্ডে সেবা প্রদান ও হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয় সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ক্যানসার প্রতিরোধ এবং ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল ব্যাধি আক্রান্ত মানুষদের চিকিৎসা এবং প্যালিয়াটিভ কেয়ার নিশ্চিত করতে দেশের সব সুস্থ জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব। সুতরাং যার যার জায়গা থেকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করতে হবে।

স্বায়ত্তশাসন অথবা বেসরকারি কোম্পানিকে দেওয়াই সমাধান

ক্যানসার হাসপাতালের বেহালদশার পেছনে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মানসিকতা দায়ী বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক ও ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিরা হাসপাতালটিকে ধারণ করেননি বলেই বছরের পর বছর ধরে কোনো উন্নতি নেই। অতীতে মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপে অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি পরিচালকরা।

অথচ দায়টা এসেছে তাদের ওপরই। কিন্তু বাস্তবতা হলো এখানে পরিচালকদের করার কিছুই থাকে না। সমস্যা অনেক গভীরে। কিন্তু কেউ সেগুলো নিয়ে কাজ করে না।

তিনি বলেন, অবস্থার উন্নতি করতে হলে স্বায়ত্তশাসন করে দিতে হবে অথবা বেসরকারি কোনো গ্রুপকে লিজ দিতে হবে। এতে রোগীরা সময়মতো চিকিৎসা পাবেন। বিনা চিকিৎসায় কাউকে ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে না।