
জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার দক্ষিণ ঠাকুরদাস মস্তেরপাড় এলাকার জাবের আলীর ঘাটে মরা তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এখন নদীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে কেবল সারি সারি পিলার। পাঁচ বছরে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ২০ শতাংশের কম। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাত গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। হারাগাছ পৌরসভার প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এডিবির অর্থায়নে পৌরসভা উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে দুটি দরপত্রে ৭৪ মিটার দীর্ঘ পাইল সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। প্রথম দফায় কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মালিকের অসুস্থতার কারণে মাত্র ২০ ভাগ কাজ করে বন্ধ রেখে চলে যায়। দ্বিতীয় দফায় আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাগিদপত্র দেওয়া হলেও এখনো কাজ শুরু করেনি ওই ঠিকাদার। প্রাথমিকভাবে কিছু অর্থ থাকলেও পুরো কাজ শেষ করতে প্রায় ১ কোটি টাকার প্রয়োজন। এত অর্থের বরাদ্দও নেই। ফলে অর্থের অভাবে সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম, সাগর মিয়াসহ বেশ কয়েকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকায় তারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। সেতু না থাকায় ধানসহ অন্য পণ্য বাজারে নিতে পারছি না। কম দামে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে। যাতায়াতের কষ্টের কারণে এলাকার অনেকেই বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে হারাগাছ পৌরসভার প্রশাসক (সহকারী কমিশনার, ভূমি) মো. লোকমান হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণের কাজ যখন শুরু তখনই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পেয়ে কাজ শুরু করায় শুধু পিলার পর্যন্ত করা হয়েছে তৎকালীন মেয়রের আমলে। এর পরে আর কোনো বরাদ্দ আসেনি। ফলে কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, আমি সেতুটি পরির্দশনের জন্য ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ার বলেছেন সেতুর কাজ শেষ করতে প্রায় ১ কোটি টাকা লাগবে। এই টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেতুর কাজ শুরু করা যাবে।
সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. হামিদুর রহমান বলেন, সেতুর পাটাতন, প্রায় ১০০ মিটার এপ্রোচ রোড, স্টিট লাইটসহ প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হবে।