Image description
বাংলাদেশের সঙ্গে নেপাল-ভুটানের বাণিজ্য

ভুটান ও নেপাল থেকে বাংলাদেশের আমদানির তুলনায় রপ্তানি অনেক কম। ভুটানের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামগ্রিক বিশ্ব বাণিজ্যের তুলনায় ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সীমিত। বাংলাদেশ ২০২২ সালে ভুটানের সঙ্গে প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। শুল্ক তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে ভুটান এবং নেপালে ৪২০ কোটি টাকা মূল্যের ৪৮ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে। তবে পরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৯০৮ মেট্রিক টন এবং টাকার অঙ্কে ৩২২ কোটি। এ ছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত, ভুটান এবং নেপালে ২৭৭ কোটি টাকা মূল্যের ২৬ হাজার ৯৯৯ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। তবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দেশ থেকে আমদানি বেড়েছে। বাংলাদেশ ওই অর্থবছরে ১ হাজার ২১৮ কোটি টাকা মূল্যের ২৭ লাখ ৮১ হাজার ১৩ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করেছে। আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ হাজার ১৬ কোটি টাকার ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৫৫ মেট্রিক টন আমদানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়ে ১ হাজার ১৭২ কোটি টাকার ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। ভুটান থেকে বাংলাদেশের আমদানির মধ্যে রয়েছে এলাচ, বোল্ডার পাথর, কমলা এবং চুনাপাথর, শুকনো মসুর ডাল, খাদ্য, ফার্মেসিতে ব্যবহৃত উদ্ভিদ বা যন্ত্রাংশ এবং নেপাল থেকে আমদানি করে পানীয়, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, প্লাস্টিকের পণ্য, রাবার, ভ্রমণ-সম্পর্কিত পণ্য, কাঠের মণ্ডসহ নানা পণ্য।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর জন্য নেপালের নীতি পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ নেপাল এবং ভুটানে প্রতি বছর ১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, নেপাল যদি ভারতের মতো পণ্যের মূল্যায়ন নীতি পরিবর্তন করে তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের জন্য নেপালের বৈষম্যমূলক মূল্যায়ন নীতি রয়েছে। নেপালে প্রতি কেজি বাংলাদেশি মিষ্টি জাতীয় পণ্যের দাম ২ দশমিক ২৫ ডলার হলেও একই রকম ভারতীয় পণ্যের দাম ১ দশমিক ৩২ ডলার। তিনি আরও বলেন, নেপালে প্রতি কেজি বাংলাদেশি বিস্কুটের দাম ২ ডলার, একই রকম ভারতীয় পণ্যের প্রতি কেজির দাম ১ ডলার। কুকিজের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। বাংলাদেশি কুকিজের প্রতি কেজির দাম ২ ডলার, যেখানে ভারতীয় প্রতি কেজির দাম ০ দশমিক ৯ ডলার।