Image description

শুধু প্রতিবাদ নয়, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদ জানাতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যুদ্ধে নাম লেখাতে আমরা প্রস্তুত আছি বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান।

 

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও জবরদখল বন্ধ এবং ফিলিস্তিনদের প্রতি সংগতি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই কথা বলেন তিনি। এ সময় সাদা দলের শিক্ষকরা বুকে কালোব্যাজ ধারণ করেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গাজায় দীর্ঘদিন ধরে যে গণহত্যা ও বর্বরতা চলছে তার বিরুদ্ধে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। এসময় ওআইসি ও জাতিসংঘের নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। পাশাপাশি, গাজায় মানবতা ও মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের সব দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দাবি জানান তারা।

 

মানববন্ধনে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গত আট দশক ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাদের এর প্রতিবাদ জানাতে হবে। তবে শুধু প্রতিবাদ নয়, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদও জানাতে হবে, প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধের জন্য সেখানে যাবো।

 

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.আব্দুস সালাম বলেন, আজকে গাজায় যত মানবাধিকার আছে সব লঙ্ঘিত করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদ আমাদের করতে হবে। আমি দাবি জানাচ্ছি যুদ্ধ ও গণহত্যা বন্ধ হোক। তবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশে যেসব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে তা ঠিক হচ্ছে না। এসবেরও প্রতিবাদ আমরা জানাই।

 

সাবেক ঢাবি উপাচার্য আ.ফ.ম ইউসুফ হায়দার বলেন, অক্টোবর ২০২৩ সালে তাদের ধারনা ছিল তারা ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করে ফেলবে। কিন্তু হামাস এবং হিজবুল্লার প্রতিরোধের মুখে আল্লাহর রহমতে এখনো তারা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। তবে যে যেই ভাষা বোঝে তাকে সে ভাষায় জবাব দিতে হবে।

 

আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকরামুল হক বলেন, পৃথিবীতে যদি আইন বলে কোনো কিছু থাকে তাহলে ইসরাইল এই আক্রমণ চলতে পারে না। আন্তর্জাতিক আইনের এমন কোনো ধারা নেই যা ইসরাইল লঙ্ঘন করেনি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এখন মূল্যহীন হয়ে গেছে এই যুদ্ধের কারণে। যুদ্ধেরও নিয়ম আছে, সেখানে যুদ্ধের কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। শিশুদের আক্রমণ করা হচ্ছে, নারীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ চাই।

 

ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাবির সাদা দলের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড.ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম, শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী প্রক্টর রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।