Image description
 

ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে চারটি পর্যায়ে কাজ করছে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ সোমবার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে রাজধানীর একটি হোটেলে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের এক সেমিনারে এ তথ্য জানান তিনি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এক মুহূর্তের জন্যও ইন্টারনেট বন্ধ করতে চায় না। পরবর্তীকালে কখনো যাতে ইন্টারনেট বন্ধ করা না যায়, সে জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। ইন্টারনেট বন্ধ ঠেকাতে সরকার চারটি পর্যায়ে কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রথমত সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে সরকার। এটা এ সপ্তাহের শেষে চূড়ান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিগত সরকারের আমলে কীভাবে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল, তা তাঁরা অনুসন্ধান করেছেন। 

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স গাইডলাইনে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তা ছাড়া বিদ্যমান টেলিকম আইনটি পরিবর্তন করে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে, যেন ভবিষ্যতে ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ না থাকে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের গভীর দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়া তাঁরা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে কাজ করছেন। মে মাসের শেষে এটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি।

এছাড়া মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতাদের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, এর মাধ্যমে উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব। 

ইন্টারনেটের দাম কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, গেটওয়ে পর্যায়ে ১০ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে। বৃহৎ গ্রাহকদের জন্য আরও ১০ শতাংশ দাম কমানো হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র আইএসপি পর্যায়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ এবং বড় আইএসপি পর্যায়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে।