Image description
 

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি পণ্য বলে পরিচিত কোমলপানীয় স্প্রাইট মাটিতে ফেলে দিয়ে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের খেলার মাঠে মহানগর উত্তর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আমিনুল হক তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে ইসরায়েলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুসলিম সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান। একই সময় তিনি টেবিলে রাখা কোমল পানীয় স্প্রাইট মাটিতে ফেলে ভিন্নধর্মী এই প্রতিবাদ জানান। এ সময় আমিনুল হকের আহ্বানে খাবার টেবিল থেকে এ পণ্যটি ফেলে দেন হাজারো নেতাকর্মী।

 

আমিনুল হক ফিলিস্তিনে সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধনীতি ভঙ্গ করে গাজায় নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। মুসলমানদের ওপরে এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ আমরা আর দেখতে চাই না।

 
 

 

ইসরায়েলি পণ্য মাটিতে ফেলে ঢাকা উত্তর বিএনপির প্রতিবাদ

 

 

অন্তর্বর্তী সরকার গত ছয় মাসেও দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পারেনি দাবি করে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের একমাত্র পথ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা বিশ্বাস করি, দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। মানুষ পরিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। দেশের মানুষ স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে চায়। সেটি তখনই সম্ভব, যখন বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একটি মহল, একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে পেছানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে এবং সেই ইস্যুতে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত রয়েছে।

সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার আপনারাও চান, আমরাও চাই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার আমরাও চাই, আপনারাও চান। বাংলাদেশকে তখনই আমরা স্বৈরাচারমুক্ত ও সংস্কার করতে পারব, যখন বাংলাদেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিলম্ব না করে দ্রুত সময়ের ভিতরে একটি নির্বাচন দেন। নির্বাচন দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। সেই জনগণের সরকার দেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। জনগণের ভোটের অধিকার পূরণ করতে পারবে। বাংলাদেশের সব মানুষের অধিকার ও দাবি পূরণ করতে সক্ষম হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তর), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দীন জুয়েল প্রমুখ।