
চুয়াডাঙ্গায় মৃত ভেবে দাফনের দেড় মাস পর সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে এসেছে তোফাজ্জেল হোসেন তোফান (১৫) নামে এক কিশোর। মা-বাবার ওপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়েছিল তোফান। শুক্রবার সে ফিরে এলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তোফান জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের দিনমজুর আবু সাঈদের ছেলে।পরিবারের সদস্যরা জানান, গত জানুয়ারিতে সে নিখোঁজ হলে নিকটাত্মীয়দের বাড়িতে খোঁজ করা হয়। কোথাও সন্ধান না পেয়ে বাবা আবু সাঈদ আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এক মাস পর গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। তোফানের পরিবার মরদেহটি তাদের ছেলের হিসেবে শনাক্ত করেন। পরে মরদেহ গ্রামে এনে দাফন করা হয়।
দাফনের দেড় মাস পর শুক্রবার (২৮ মার্চ) ঈদ উপলক্ষে তোফান সুস্থ শরীরে বাড়িতে ফিরে আসে। এতে পরিবারসহ স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দের পাশাপাশি নানা প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। দাফন করা মরদেহটি কার এ প্রশ্ন উঠেছে।
তোফানের বাবা আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ছেলের মরদেহ অন্তত পেয়েছি। কিন্তু সে যে বেঁচে আছে, সেটা জানতাম না। ও ফিরে আসায় আমরা আনন্দে আত্মহারা।’
তোফাজ্জেল হোসেন তোফান বলে, ‘আমি আমার নিজ ইচ্ছায় কাউকে না বলে আলমডাঙ্গা স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে করে ঢাকা গেছিলাম। ঢাকার শ্যামলীতে রড কারখানায় কাম করতাম। দিন ৫/৭শ করে টাকা পেতাম। ৩ বার খেতাম। বাড়ির ফোন নম্বর জানা নেই। আমিও ফোন ব্যবহার করেনি। তাই কারোর সাথেই যোগাযোগ করা হয়নি। আমি আমার জন্য ঈদের মার্কেট করেছি আর ১৫ হাজার টাকা এনেছি। বাড়ি ফিরতে পেরে অনেক খুশি লাগছে।’
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এটি গাইবান্ধা থানা পুলিশের বিষয়। আমরা তাদের অবহিত করব এবং দেশের বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য পাঠানো হবে।
(ঢাকা টাইমস