
হরিণ শিকার ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ঈদের ছুটি। শুক্রবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পূর্ব বনবিভাগ।
প্রতিবছর ঈদের সময় সুন্দরবনে বেড়ে যায় চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম।
অপরদিকে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ও শাপলার বিলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বেশি উদ্বিগ্ন বন বিভাগ।
বন বিভাগ ও কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সুন্দরবন ও বনসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩০৮ কজি হরিণের মাংস, দুটি মাথা, দুটি চামড়া, ৮টি পা, বিপুল পরিমাণ হরিণ ধরা ফাঁদ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সাতজন শিকারিকে। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন ও বন বিভাগ এসব অভিযান পরিচালনা করে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিরা বেশি সক্রিয় হয়। তাই হরিণসহ বন্যপ্রাণি শিকাররোধে শরণখোলা রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির বন কর্মকর্তা-কর্মকর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হরিণ ও বন্যপ্রাণি শিকার এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সীমিত করা হয়েছে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হবে না। ঈদের বিশেষ এই সময়টাতে শিকারীদের অপতৎপরতা বন্ধ এবং অগ্নি সন্ত্রাসীদের নাশকতারোধে দুই রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।