Image description

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিবাসি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অভিবাসন আইন কঠোর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরইমধ্যে কঠোর যাচাই-বাঁচাইয়ের জন্য সাময়িকভাবে ‘গ্রিন কার্ড’ আবেদন স্থগিত করেছে দেশটি। দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ছাত্র এবং অন্যান্য বিদেশী নাগরিকদের আটক এবং নির্বাসন নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

সম্প্রতি অভিবাসন প্রক্রিয়া কড়াকড়ি করে নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে অভিবাসন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ‘গ্রিন কার্ড’ বা স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার আবেদন কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, তারা কিছু শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তিদের অভিবাসন প্রক্রিয়া ও গ্রিনকার্ড আবেদন পর্যালোচনা স্থগিত করেছে। যা যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ও সংঘাতপূর্ণ দেশ থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তিদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এতে প্রতারণা বন্ধ এবং জাতীয় ও জননিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের মতো নিরাপত্তা ঝুঁকির আওতাভুক্ত দেশ থেকে আগত অভিবাসনপ্রত্যাশীরাও বেশি প্রভাবিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নতুন ভেটিং তথা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই কঠোর নিরাপত্তা যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আগত শরণার্থীদের জন্য আরেকটি দফা জটিলতা তৈরি করবে।

এই সিদ্ধান্ত দেশটিতে অবস্থানরত হাজারো বাংলাদেশি পরিবারকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, যারা তাদের আত্মীয়স্বজনদের গ্রিন কার্ড প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। অভিবাসন আইনজীবীরা বলছেন, এই ধরণের বাধা যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন সিস্টেমে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি করতে পারে এবং ইউএসসিআইসি-এর আয়তেও প্রভাব ফেলতে পারে, যেহেতু এটি একটি ফি-ভিত্তিক সংস্থা।

এদিকে ট্রাম্প গত মঙ্গলবার নতুন একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে মার্কিন নাগরিকদের। ডাকযোগে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ।

বিডি-প্রতিদিন