
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবার লন্ডনে তার পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তারা একসঙ্গে উৎসব অনুষ্ঠান ভাগাভাগি করবেন। এরআগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় আট বছর পর সেবার পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করেন তিনি।
২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপির আয়োজনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ২০১৭ সালে লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন খালেদা জিয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব কমার্স অ্যান্ড আইটির কর্ণধার নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ বলেন, ১৮ বছরে খালেদা জিয়ার মতোন একজন নেত্রী এবারের মতো মাত্র তিনবার পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারছেন, সেটিও সম্ভব হয়েছে উনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসতে পারায়।
খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি এবার কোনও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান করবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, তারা বড় পরিসরের হল পাচ্ছেন না। হলের ব্যবস্থা করতে পারলে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন যে তার স্বাস্থ্যের উন্নতির ইতিবাচক লক্ষণ দেখা গেছে। ঈদের পরই দেশে ফেরার কথা বললেও ঠিক কবে ফিরতে পারেন, সেটি এপ্রিলের কোন সপ্তাহে হতে পারে সে বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।
জানা গেছে, তার বর্তমান স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে তার নিরাপদে ফিরে আসার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন হবে। এর আগে, কাতার সরকার উদারভাবে তার চিকিৎসার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছিল।
একটি সূত্র জানায়, এমন ইঙ্গিত রয়েছে যে প্রয়োজন দেখা দিলে কাতার সরকার আবারও তার প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে পারে। খালেদা জিয়ার যে উপদেষ্টা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কাতার সরকারের সাথে শুরুতে যোগাযোগ করেছিলেন, তিনিই বিষয়টি দেখছেন।