Image description
 

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা বার্তায় তারা গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় জোরালো সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।গতকাল বুধবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনার সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের সরকার, জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বহুমুখী। আমাদের সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য, বহুমুখী সংযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং মানুষে মানুষে বিনিময়ের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্র। এছাড়া ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ এবং ‘পূর্বমুখী নীতি’, আমাদের ‘সাগর’ মতবাদ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের রাষ্ট্রপতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো বার্তায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, এই দিনটি আমাদের ভাগ করা ইতিহাস এবং ত্যাগের প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সম্পর্কের জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত রয়েছে, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকশিত হয়েছে এবং আমাদের জনগণের জন্য নানা সুবিধা বয়ে এনেছে।এদিকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গণতন্ত্রায়ণের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ওয়াশিংটন।

 

বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, বাংলাদেশ আজ এক বিশেষ দিন উদ্‌যাপন করছে। আজকে তাদের এই মহান স্বাধীনতা দিবসে দেশটির জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, দুই দেশকেই অধিক নিরাপদ, শক্তিশালী ও উন্নত করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করছে যুক্তরাষ্ট্র।এবারের মহান স্বাধীনতা দিবস এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে উদ্‌যাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে রুবিও বলেছেন, দেশটির অন্তবর্তীকালীন সরকার একটা সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণের সুযোগ পাবে দেশের জনগণ।তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন রয়েছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ইন্দো-প্যাসিফিকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য ঢাকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব বজায় রাখতে আগ্রহী ওয়াশিংটন।