Image description
 

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডাঃ জাহেদ উর রহমান গত কয়েকদিনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এক টকশোতে রাষ্ট্রপতি কি চাইলে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ডাঃ জাহেদ উর রহমান তার মতামত ব্যক্ত করেন।


তিনি বলেন,“একেবারেই না। জরুরি অবস্থা নিয়ে আর্টিকেল ১৪১ এ আমাদের কথা আছে। ৪২ তে আছে, ৪৩ তে আছে। আর্টিকেল ১৪১ এ যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো,সংবিধানে রাষ্ট্রপতি শব্দটা যতবার আছে, ততবার এটাকে আসলে প্রধানমন্ত্রী পড়তে হবে, এক্সেপ্ট ৪৮৩ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া। দুটি বিষয় ছাড়া। এমনকি ১৪১ এ লেখা আছে, এটা না লিখলেও চলতো, কিন্তু এখানে লেখা আছে ক্যাটাগরিকলি যে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর ছাড়া কোন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে না।”


ডাঃ জাহেদ উর রহমান আরও বলেন,“ এখন কেউ প্রশ্ন করবেন দেশে তো প্রধানমন্ত্রী নাই। সেপ্টেম্বরের কিন্তু একটা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে। যেখানে প্রধান উপদেষ্টা কার্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন।

 


সুতরাং, প্রধান উপদেষ্টা জরুরি যদি জারি করতে হয়, এটা প্রধান উপদেষ্টাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উনি করবেন। রাষ্ট্রপতির আসলে ওইটাতে ডিনাই করার কোন রকম কোন স্কোপ নাই। এটা একদম সোজা সাপটা কথা। এবং প্রধান উপদেষ্টা এই মুহূর্তে জরুরি অবস্থা জারি করার কোন প্রশ্নও আসে না।”

 


তিনি আরও বলেন,“দিনের শেষে আপনি যখন মিলিটারি চিফকেই শুধু বলেছি বা আক্রমণ শুধু তাকে করছি। না, এটা একটা ইনস্টিটিউশন। এবং আমি খোলাখুলি বলতে চাই, আমরা বলেছি অনেক, উনি শেখ হাসিনা নিয়োগকৃত সেনাপ্রধান।


কিন্তু আমাদের এই মুভমেন্টের একটা পর্যায়ে তিনি এবং তার বাহিনী ডিসাইসিভ রোল প্লে করেছে। সেখানে আপনি যখন এই মন্তব্যগুলো করছেন তাদের মধ্যে স্ট্রেস এবং টেনশন আমরা অনেকে টের পাই না। আমরা বলি যে আমরা গান পয়েন্টে ছিলাম। এই মুভমেন্ট যদি ফেল করতো, মিলিটারির চিফ থেকে শুরু করে টপ লিডারশিপ কি হতো? কোর্ট মার্শাল হতো। প্রত্যেকে সেই ঝুঁকে নিয়েছে।”


তিনি পরিশেষে বলেন, “আরেকটা কথা, জরুরী, উনি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বা প্রভাব রাখার চেষ্টা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি, সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু উনাকে অপসারণ করে ফেলতে হবে, উনার জন্য বায়তুল মোকাররমে বাদ জুম্মা মিছিল নামতে হবে?”