
রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’ এর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট এই আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন এরিশা শিবিব নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক ছাত্রী।
তবে কমিটি ঘোষণার পরই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পদ পাওয়া এই নেত্রী বিগত সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক মন্তব্য এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের সঙ্গে ফটোসেশন করা নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এসব ঘটনার কিছু ছবি ও ভিডিও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, এরিশা শিবিব আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কাদেরের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও ওবায়েদুল কাদের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুর থাকাকালে হোয়াটসঅ্যাপে কল দিয়ে তার খোঁজখবর নিতেও দেখা গেছে একটি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক মেসেঞ্জারের একটি গ্রুপে কমেন্টে খালেদা জিয়ার ছবিতে তিনি মন্তব্য করেন— আমি তার ব্যক্তিত্বকে পছন্দ করলেও তার ছেলেকে (তারেক রহমান) নয় (I like her personally but not her son.)।
এ বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এরিশা শিবিব গত ২০২৩ সাল থেকে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করছে। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি রাজপথে ছিলেন। তবে যে ছবি রয়েছে, সেটা ২০১৭ সালের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবি। আমাদের তিনি বিষয়টি আগেই জানিয়েছে।
এ বিষয়ে এরিশা শিবিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমার এক চাচা সরকারি চাকরি করতেন। তখন আমাদের পারিবারিক এক প্রোগ্রামে ওবায়েদুল কাদেরের সঙ্গে দেখা হলে আমি ছবি তুলি। তখন তিনি রাষ্ট্রের একজন মন্ত্রী ছিলেন, তাই ছবি তোলা হয়েছিল।
তারেক রহমানকে অপছন্দ করা নিয়ে মন্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা আমার মন্তব্য নয়। কেউ এটা এডিট করেছে।
তবে কমিটিতে এরিশা শিবিবকে পদ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলন-সংগ্রামে থাকা শাখা ছাত্রদলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, আমরা দিনের পর দিন রাজপথে আন্দোলন করেছি, হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। অথচ এখন আমাদের বাদ দিয়ে এমন একজনকে পদ দেওয়া হয়েছে, যার রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে প্রশ্ন আছে। আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগীরা এখন ছাত্রদলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাচ্ছে, যা মেনে নেওয়া যায় না।